Deucha Pachami Coal Block

চাকরি না-পেলে ডেউচা হবে ‘সিঙ্গুর’, হুঁশিয়ারি

যদিও আলোচনা শেষে বেরিয়ে এক চাকরিপ্রার্থী সোমনাথ দাস বলেন, “জেলাশাসক কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:০২
Share:

চাকরির দাবিতে জেলাশাসকের ঘরের সামনে ধর্না। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র।

ডেউচা-পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লা প্রকল্পে স্বেচ্ছায় জমিদানের পরেও চাকরি না-মেলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সিউড়িতে জেলাশাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসলেন জমিদাতাদের একাংশ। চাকরি না পেলে ডেউচা সিঙ্গুর হবে বলেও জমিদাতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

Advertisement

ওই জমিদাতাদের দাবি, কয়লা প্রকল্পের জন্য তাঁরা স্বেচ্ছায় জমি দিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রায় দেড় বছরেও তাঁদের অনেকেরই জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি এবং এখনও সরকারি প্রতিশ্রুতি মতো চাকরির নিয়োগপত্রও তাঁরা হাতে পাননি। এই প্রসঙ্গে বারবার জেলাশাসকের কাছে আবেদন করার পরেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে তাঁদের দাবি। এ দিন বিকেলে সিউড়ি প্রশাসন ভবনের দোতলায় জেলাশাসকের অফিসঘরের ঠিক বাইরেই ধর্নায় বসেন জমিদাতাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ‘‘জেলাশাসক শুধু পরের পর তারিখ দিচ্ছেন। আজ আমরা এখানে সদুত্তর নিতে এসেছি। জেলাশাসক চাকরির বিষয়ে নিশ্চয়তা দিলে আমরা হাসিমুখে ফিরে যাব। তা না হলে সিঙ্গুরের হাল হবে কোল ব্লকেরও।” ঘণ্টা দুয়েক ধর্নার পরে পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধিদল জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে যান।

যদিও আলোচনা শেষে বেরিয়ে এক চাকরিপ্রার্থী সোমনাথ দাস বলেন, “জেলাশাসক কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি। আমরা এ দিনের মতো ধর্না প্রত্যাহার করলেও দ্রুতই বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।’’ তাঁর দাবি, নিয়োগে কিছু ক্ষেত্রে অনিয়মও হয়েছে। প্রয়োজনে এ নিয়ে তাঁরা আদালতেরও দ্বারস্থ হবেন। আর এক জমিদাতা শুক্লা দাস বলেন, “জমি দেওয়ার পরেও আমাদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে চাকরি দেওয়া হয়নি। আমাদের আগের ধাপে যাঁরা জমিদান করেছিলেন, তাঁরা দেড় মাসের মধ্যে চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের মোট ৬৩১ জনের চাকরি আটকে রাখা হয়েছে।’’

Advertisement

এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, “সব কিছু নিয়মমাফিক চলছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এলেই চাকরি দেওয়া হবে। কেউ কেউ অস্থির হয়ে পড়ছেন, কেউ কেউ মিথ্যা প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement