বাঘমুণ্ডির মাঠা এলাকার আদিবাসী অধ্যুষিত লোয়াকুই গ্রামে। নিজস্ব চিত্র
‘বিনা পয়সার বাজার’। সেখানে বিনামূল্যে মিলল জামাকাপড়। গত শনিবার এমনই বাজার বসেছিল বাঘমুণ্ডির মাঠা এলাকার আদিবাসী অধ্যুষিত লোয়াকুই গ্রামের একটি বেসরকারি স্কুলের মাঠে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রয়াত সাহিত্যিক তাপসকুমার লায়েকের স্মরণে বছরের বিভিন্ন সময়ে নানা রকমের কর্মসূচির আয়োজন করে থাকেন তাঁর সহপাঠীরা। তবে বিনা পয়সার বাজারের এমন উদ্যোগ প্রথম বলে জানান উদ্যোক্তারা।
কী রয়েছে এই বাজারে? উদ্যোক্তারা জানান, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে পোশাক সংগ্রহ করে প্রত্যন্ত এলাকায় দুঃস্থ মানুষজনদের বিতরণের জন্য এই আয়োজন। পোশাক নিতে এ দিন খুদেদের পাশাপাশি ভিড় জমান বয়স্কেরাও। শাড়ি নিতে নিতে ষাটোর্ধ্ব রেবতী সোরেন বলেন, ‘‘ঘরের লোকেদের জন্যও পোশাক নিয়েছি। এক পয়সাও লাগেনি।’’
পাশপাশি, এ দিন ওই স্কুলে চত্বরে মেহগনি, পেয়ারার মতো বেশ কিছু গাছের চারা রোপণ করা হয়। স্কুলের একটি কক্ষে চালু করা হয় পাঁচশো বই সম্বলিত একটি গ্রন্থাগারও। অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে খুদে পড়ুয়াদের নানা ধরনের খেলার সরঞ্জামও দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা গ্রন্থাগারিক মধুসূদন চৌধুরী, সাহিত্যিক সৈকত রক্ষিত, জঙ্গিপুর কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক নুরুল মোর্তজা, হুগলির মাখলা হাইস্কুলের শিক্ষক শুভময় সরকার, বেতারশিল্পী মানসী চট্টোপাধ্যায়, বিনা পয়সার বাজারের অন্যতম উদ্যোক্তা সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম প্রমুখ।