গড় পঞ্চকোট পাহাড়ে অতিথিনিবাস। নিজস্ব চিত্র।
গরমে পর্যটকের দেখা এমনিতেই মেলে কম। এ বার চড়া গরমে নাজেহাল পুরুলিয়া। ফলে, এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকেই অযোধ্যা পাহাড়, গড় পঞ্চকোট, বড়ন্তির মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলি পর্যটকহীন হয়ে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
গত কয়েক দিন ধরেই পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে রয়েছে। পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, অতীতে এপ্রিলের শেষ অবধি সপ্তাহান্তে পর্যটন স্থলগুলিতে কম হলেও কিছু সংখ্যক পর্যটকেরা আসতেন। এ বারও এপ্রিলের শেষ দিকে সপ্তাহান্তে বুকিং ছিল। কিন্তু গরম বাড়তে থাকায়, বুকিং বাতিল করতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা।
গড় পঞ্চকোটের ‘পিপিপি’ মডেলে চলা অতিথি নিবাসের কর্ণধার সুপ্রিয় গঙ্গেোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গরম বাড়তেই পর্যটকেরা বুকিং বাতিল করতে শুরু করেছেন। অগস্টের দিকে বুকিং করছেন তাঁরা।’’ সুপ্রিয়ের মতে, পুরুলিয়ায় সন্ধ্যার দিকে গরম অনেকটাই কমে যায়। ফলে, দিনে অতিথি নিবাসের ঘরে কাটিয়ে, বিকেলের দিকে বেরিয়ে ঘোরাঘুরি করতেই পারেন পর্যটকেরা। কিন্তু যে ভাবে এ বার বিকেলের দিকেও গরম হাওয়া বইছে, তাতে পর্যটকেরা পুরুলিয়ামুখী হচ্ছেন না। ব্যবসা মার খাচ্ছে বলে তাঁর দাবি। গড় পঞ্চকোটের আর একটি অতিথি নিবাসের ম্যানেজার অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তীব্র গরমের কারণে এ বার এমনিতেই পর্যটক অনেক কম। তার পরে, গরম আরও বাড়ার সঙ্গে বুকিং বাতিল করছেন বহু পর্যটক।’’
অযোধ্যায় পর্যটনের মরসুমে পর্যটকের ঢল নামে। তা ছাড়া, কয়েক বছর ধরে গরমেও কিছু পর্যটক আসতেন অযোধ্যায়। ফলে, পাহাড়ের উপরে ও আশপাশের এলাকায় ক্রমশ বেড়েছে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি অতিথি নিবাসের সংখ্যা। পাহাড় ঘিরে গোটা তিরিশ অতিথি নিবাস তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই রকম সময়ে সব ক’টিই প্রায় ফাঁকা বলে জানাচ্ছেন পুরুলিয়ার ‘হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়শন’-এর কর্মকর্তা তথা জেলার পর্যটন কমিটির সদস্য মোহিত লাটা।
তিনি বলেন, ‘‘তীব্র গরমে পর্যটকেরা আসতে চাইছেন না। এই অবস্থায় বিয়েবাড়ির বুকিংগুলি অন্যতম ভরসা ছিল। কিন্তু গরমের কারণে বিয়েবাড়িতেও অতিথি-অভ্যাগত কম আসায়, ঘরের বুকিং অনেকটাই কম হচ্ছে।’’