পুরুলিয়া-বাঁকুড়া (৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে) হুড়ার ভুঁইয়াড়ি গ্রামের কাছে দুর্ঘটনার পরে যানজট লেগে যায়।
পানীয় জলের দাবিতে অবরোধ ও জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা— জোড়া ঘটনায় পুরুলিয়ার নানা জায়গায় মঙ্গলবার দুর্ভোগে পড়লেন আমজনতা।
এ দিন পানীয় জল ও খরা পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধানের দাবিতে বিভিন্ন ব্লকে পথ অবরোধ কর্মসূচি নিয়েছিল এসইউসি। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রঙ্গলাল কুমার নিজেই জানান, পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কের রঘুনাথপুরে ও সরবড়ি মোড়ে, পুরুলিয়া-বাঁকুড়া (৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের) লালপুর মোড়ে, পুরুলিয়া শহরে বাসস্ট্যান্ডের কাছে বলরামপুরগামী রাস্তায়, ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রাস্তায় কালিমাটি মোড়ে, কাশীপুর-আদ্রা রাস্তায় কাশীপুর হাটতলা মোড়ে, রঘুনাথপুর-শালতোড়া রাস্তায় সাঁতুড়িতে অবরোধ কর্মসূচী হয়।
সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ পুরুলিয়া-বাঁকুড়া (৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে) জাতীয় সড়কে হুড়ার ভুঁইয়াড়ি গ্রামের কাছে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। আসবাব বোঝাই একটি লরি বাঁকুড়ার দিক থেকে পুরুলিয়ার দিকে আসছিল। খইল বোঝাই অন্য লরিটি পুরুলিয়ার দিক থেকে বাঁকুড়ার দিকে যাচ্ছিল। সংঘর্ষের তীব্রতায় বাঁকুড়ার দিক থেকে আসা লরির চালকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। অন্য লরির চালক গুরুতর জখম অবস্থায় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ কোনও চালকেরই পরিচয় জানাতে পারেনি।
ওই রাস্তাতেই জলের দাবিতে হুড়ারই লালপুরে এসইউসি-র অবরোধ।—প্রদীপ মাহাতো
সকাল সাড়ে ন’টা থেকে রাস্তা অবরোধ, তায় দুর্ঘটনা, দু’য়ের জেরে প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের। দুর্ঘটনাস্থলে আটকে পড়া পুঞ্চার পাড়ুইয়ের বাসিন্দা তারক দাস বলেন, ‘‘ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় আটকে রয়েছি। কখন বাড়ি ফিরব বুঝতে পারছি না।’’
এ দিন হুড়ার লালপুর মহাত্মা গাঁধী কলেজে পার্ট ২ সাম্মানিক পরীক্ষা ছিল। বেলা ১১টা থেকে পরীক্ষা শুরু হলেও অনেক পরীক্ষার্থী যানজটের দরুন দেরিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছন।
এসইউসি-র পক্ষ থেকে এ দিন পুরুলিয়া পুরসভার সামনেও পানীয় জলের দাবিতে বিক্ষোভ হয়। পুরসভার উপ পুরপ্রধান সামিমদাদ খান বলেন, ‘‘সকলেই তো জানেন দীর্ঘ সময় বৃষ্টি নেই। ফলে জলস্তর অনেকটা নীচে নেমে গিয়েছে। তবু চেষ্টা করে এক বেলা পানীয় জল সরবরাহ সচল রেখেছি। গাড়িতে করেও কিছু এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে।’’সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে অবরোধ কেন? এসইউসি নেতা রঙ্গলালবাবু বলেন, ‘‘পানীয় জল না পেয়ে মানুষ আরও অনেক বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন। তা ছাড়া খুব বেশি সময় অবরোধ করা হয়নি। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে মাত্র!’’