Bolpur

নার্সিংহোমে রোগিণী-নিগ্রহের নালিশ

রোগীর আত্মীয়দের আরও অভিযোগ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগীর সমস্ত কাগজপত্র এবং স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডও তাঁদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বোলপুর শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৪০
Share:

বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ঝুমা গড়াই। নিজস্ব চিত্র

অস্ত্রোপচারের জন্য তিনি ভর্তি হয়েছিলেন নার্সিংহোমে। এই আশায় যে, ভাল চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। কিন্তু, সেই অস্ত্রোপচার না হওয়ার সিদ্ধান্তকে ঘিরে বচসার জেরে এক রোগিণী ও তাঁর আত্মীয়কে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ উঠল নার্সিংহোমের কর্ণধারের বিরুদ্ধে। বোলপুরের সিয়ান পঞ্চায়েত এলাকার ওই নার্সিংহোমে শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। আহত রোগিণী ঝুমা গড়াইকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রোগীর আত্মীয়া ঝুম্পিতা বাগদিকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঝুম্পিতা বাগদী শুক্রবার সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতন থানায় ওই নার্সিংহোমের কর্ণধারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

Advertisement

আমোদপুরের মাটিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা ঝুমা ও ঝুম্পিতা। বোলপুর হাসপাতালে ঝুমার পাশে দাঁড়িয়ে ঝুম্পিতা জানান, তাঁর মাসি ঝুমার গলব্লাডারে পাথর হওয়ার জন্য ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় বৃহস্পতিবার। এখানকার প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে সমস্ত পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর, শুক্রবার দুপুর তিনটেয় ঝুমার অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, এ দিন সকালে জানানো হয়, অস্ত্রোপচার করা হবে না। ঝুম্পিতার অভিযোগ, ‘‘আমরা এর কারণ জানতে চাইলে, নার্সিংহোমের কর্মচারীদের সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হঠাৎই নার্সিংহোমের মালিক ও চিকিৎসক শ্যামল রক্ষিত আমাকে আর ঝুমাকে চড় মারতে মারতে নার্সিংহোম থেকে বের করে দেন। অপারেশনের জন্য ঝুমা সারাদিন কিছু খায়নি, তাই এ রকম মার খেয়ে ও বমি করতে থাকে। তখন আমরা তাড়াতাড়ি ওকে সিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করি।’’

রোগীর আত্মীয়দের আরও অভিযোগ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগীর সমস্ত কাগজপত্র এবং স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডও তাঁদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন না। এ সবের প্রতিবাদে রোগীর আত্মীয় ও পরিচিতেরা নার্সিংহোমের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয় থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে। শ্যামলবাবুকে ফোন করা হলে তাঁর নার্সিংহোমের এক কর্মী ফোন ধরে জানান, তিনি এখন নেই। তাঁর অন্য কোনও নম্বর আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে, তা দিতে অস্বীকার করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement