CRPF Jawan

বাহিনী সরে কবে থেকে ক্লাস, প্রশ্ন স্কুলে স্কুলে

পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে আদালতের নির্দেশ মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। জেলা প্রশাসনের তরফে বেশ কিছু স্কুলকে বেছে নেওয়া হয় জওয়ানদের  রাখার জন্য।

Advertisement

বাসুদেব ঘোষ 

বোলপুর শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩ ০৯:৪২
Share:

বোলপুরের পাঁচশোয়া রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠে এখনও রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রবিবার।  নিজস্ব চিত্র abpbabubiswajit@gmail.com

সামনে পরীক্ষা। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য জেলায় আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী এখনও পর্যন্ত অনেক স্কুলে থেকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন স্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা। বাহিনী সরে ঠিক কবে থেকে স্কুল খুলবে,পড়ুয়ারা কবে ক্লাসে ফিরবে, তা নিয়ে ধন্দ কাটছে না। স্কুল বন্ধ করে এত দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখা নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকদেরও বড় অংশ।

Advertisement

পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে আদালতের নির্দেশ মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। জেলা প্রশাসনের তরফে বেশ কিছু স্কুলকে বেছে নেওয়া হয় জওয়ানদের রাখার জন্য। গরমের ছুটির পরে সরকারি স্কুল খুলেছিল ১৫ জুন। তার কিছু দিনের মধ্যেই পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বহু স্কুলে ফের পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যায়। ভোট পর্ব শেষ হলেও ভোট-পরবর্তী হিংসার আশঙ্কায় সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এখনও রেখে দেওয়া হয়েছে স্কুলে স্কুলে।

বোলপুর থেকে কিছুটা দূরে পাঁচশোয়া রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুলটি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার জন্য ২৪ জুন নেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন ক্লাসঘর থেকে শুরু করে স্কুলের স্টাফরুমও নেওয়া হয়েছে বাহিনীর জন্য। যার ফলে গত প্রায় এক মাস ধরে শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা স্কুলে আসতে পারছেন না। স্কুল কবে খালি করে দেওয়া হবে, সেই বিষয়েও স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রশাসনের তরফে কেউ কিছু জানায়নি বলে অভিযোগ। একই পরিস্থিতি বোলপুরের বিনুনিয়া সুমিত্রা বালিকা বিদ্যালয়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনীরে রাখার জন্য এই স্কুলও নেওয়া হয়েছে ২৬ জুন থেকে। এখনও স্কুল খালি করা হয়নি। একই ভাবে সিউড়ি নেতাজি বিদ্যাভবন স্কুলও প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ।

Advertisement

স্কুল সূত্রে জানা যাচ্ছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন শুরু হওয়ার কথা অগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্রুত স্কুল না-ছাড়লে পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের পাঠ্যক্রম কবে শেষ হবে,পরীক্ষা কী ভাবে নেওয়া হবে, তা নিয়ে চিন্তায়ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। পাঁচশোয়া রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক সীতারাম মণ্ডল বলেন, “এ ভাবে এক মাসের কাছাকাছি স্কুল বন্ধ থাকায় বহু সমস্যা হচ্ছে। সামনে পড়ুয়াদের পরীক্ষা, কী ভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা নিয়েও আমরা চিন্তায় রয়েছি। এ নিয়ে বারবার প্রশাসনের আধিকারিকদের জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।” বিনুরিয়া সুমিত্রা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অদিতি মজুমদার বলেন, “একেই গরমের জন্য স্কুলে দীর্ঘ ছুটি ছিল। তার উপরে গত প্রায় এক মাস ধরেও স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের মধ্যে স্কুলছুটের প্রবণতা থেকেই যাচ্ছে।” জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) চন্দ্রশেখর জাউলিয়া জানান, এখনও বাহিনী রয়েছে বলে কিছু স্কুল তাঁকে জানিয়েছে। এই বিষয়ে দ্রুত প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement