বালি তোলা হচ্ছে কি, দেখতে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।
প্রকাশ্যে বালি চুরির অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার ঘটনাস্থল সরেজমিনে দেখে গেলেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্তাব্যক্তিরা। ওই জায়গা থেকে আর বালি না তোলার জন্য ভূমি সংস্কার দফতর থেকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
লকডাউনের সময় থেকে ট্রাক্টর লাগিয়ে অবাধে বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বল্লভপুরডাঙ্গা এলাকায় কোপাই নদীর পাড় থেকে দিনে দুপুরে বালি চুরির অভিযোগ উঠেছিল। সেই বালি চড়া দামে জেলা ও জেলার বাইরে বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। বালি তোলার ফলে আশেপাশের চাষযোগ্য জমিরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, এমন অভিযোগ সামনে আসে। বালি ট্রাক্টরের দিনরাত আনাগোনাতেও অতিষ্ঠ ছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। এই নিয়ে বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে দাবি ওই এলাকার জমির মালিক ও বাসিন্দাদের।
সেই খবর সংবাদমাধ্যমে আসতেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। এ দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বোলপুরের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সঞ্জয় রায়, রেভিনিউ ইন্সপেক্টর প্রসন হালদাররা। এ দিনও ওই এলাকা থেকে বালি তোলার কাজ চলছিল বলে অভিযোগ। তবে আধিকারিকদের দেখা মাত্র সেই কাজ বন্ধ করে দিতে দেখা যায়। যদিও হাতেনাতে ধরা যায়নি কোনও বালি বোঝাই ট্রাক্টরকে।
বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সঞ্জয় রায় বলেন, “আপাতত ওই জায়গা থেকে বালি তোলা বন্ধ রাখার জন্য পুলিশকে দেখতে বলা হয়েছে। পুরো বিষয়টির উপরে নজর রাখছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর।” বালি তোলা বন্ধ করতে প্রশাসনের এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ওই এলাকার জমির মালিকেরা।