নির্বাচনের কথা জানেন না নেতারাই

সমবায় ভোটে জয়ী বিরোধীরা

রামপুরহাট ১ ব্লকের সমবায় পরিদর্শক কাঞ্চন মল্লিক জানান, ৩০ অক্টোবর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। মনোনয়ন জমার কথা ছিল ১০ এবং ১১ অক্টোবর।

Advertisement

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

সমবায়ের তরফে পরিচালন সমিতির ভোটের কথা জানিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে চিঠি এসেছিল। কিন্তু, তা নিয়ে নাড়াঘাটা বিশেষ হয়নি। তার সুযোগ নিল বিজেপি, সিপিএম, সিপিআইয়ের মতো বিরোধীরা। শাসকদল প্রার্থীই না দেওয়ায় রামপুরহাট ১ ব্লকের শিবদাসপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে বিরোধীরা।

Advertisement

রামপুরহাট ১ ব্লকের সমবায় পরিদর্শক কাঞ্চন মল্লিক জানান, ৩০ অক্টোবর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। মনোনয়ন জমার কথা ছিল ১০ এবং ১১ অক্টোবর। ১২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার মনোনয়নের কাগজ পরীক্ষা করে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। কাঞ্চনবাবুর কথায়, ‘‘পরিচালন সমিতির ৯টি আসনে ৯ জনের বেশি মনোনয়ন জমা দেননি। ফলে নির্বাচন আর হবে না।’’ নিয়ম অনুযায়ী, ওই দিন সাধারণ সভা ডেকে প্রার্থীদের সকলকেই জয়ী ঘোষণা করে শংসাপত্র দেওয়া হবে। পরে ৯ জন সদস্যের ভোটে পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হবে।

কিন্তু, যে এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য থেকে পঞ্চায়েত সমিতি, এমনকি বিধায়কও শাসকদলের সেখানে প্রার্থী দেওয়া গেল না কেন? তার উত্তর দিতে পারেননি ব্লক সভাপতি থেকে মন্ত্রী কেউই। তৃণমূলের রামপুরহাট মহকুমা পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিষয়টা আমার জানা নেই। তবে এ রকমটা হওয়া উচিত ছিল না।’’ রামপুরহাট ১ ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন আবার বলছেন, ‘‘ওই এলাকায় আমাদের সংগঠন ভাল। কিন্তু, সমবায়ের ভোটের ব্যাপারে বিন্দুবিসর্গ জানি না তো!’’ মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘কেন এমন হল খোঁজ নেব।’’

Advertisement

রামপুরহাট ১ ব্লকের কুশুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে এই কৃষি উন্নয়ন সমিতি। ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের বিধানচন্দ্র মণ্ডল অবশ্য বলছেন, ‘‘ভোটের কথা জানিয়ে সমবায় সমিতি থেকে আমাকে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু, বাড়িতে অসুবিধা থাকার জন্য নির্বাচন মাথা ঘামাইনি।’’

তারই সুযোগ নিয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তারাই সিপিএম, সিপিআইয়ের মতো বিরোধী দলকে একসঙ্গে করে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। সমবায় সূত্রের খবর, বিজেপি সমর্থিত ছয় সদস্য, দুই সিপিআই এবং এক সিপিএম প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এখন জিততে চলেছেন তাঁরাই। এর কৃতিত্ব নিয়ে এলাকার বিজেপি নেতা রাসবিহারী পণ্ডিত বলেন, ‘‘সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটি তৃণমূল শূন্য করাই লক্ষ্য ছিল। সেটাই আমরা করে দেখিয়ে দিয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement