আরজিকর প্রতিবাদে রেল ড্রাইভার ও গার্ডদের মিছিল রামপুরহাট শহরে। ছবি সব্যসাচী ইসলাম।
আর জি কর কাণ্ডে আন্দোলন ঘিরে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছে। বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় জানালেন, এই আন্দোলন সরকার বদলের নয়, সমাজ বদলের।
এ দিন সিউড়িতে আয়োজিত একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তিনি বলেন, “এই ঘটনায় সকলেই শাস্তি চাইছেন। পৃথিবীতে এমন কেউ নেই, যিনি এই ঘটনাকে সমর্থন করবেন। সকলেই চাইছেন, শাস্তি হোক, ফাঁসি হোক। সেই চাওয়াটা প্রত্যেকে প্রত্যেকের মতো করে চাইছেন। সেটা যত দ্রুত হয় সেটাই কাম্য।” তবে আর জি করের ঘটনার বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে যে আন্দোলন চলছে, সেখানে রাজনৈতিক দলগুলির সক্রিয়তা প্রসঙ্গে শতাব্দীর ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব, “এটা সরকার বদলানো নয়, এটা সমাজ বদলানোর আন্দোলন।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজ এবং কড়িধ্যা যদুরায় মেমোরিয়াল হাই স্কুলে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন সাংসদ। এদিন যদুরায় হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তিনি। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সিউড়ি সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শতাব্দী। সেখানেই আর জি কর প্রসঙ্গে কথা বলেন শতাব্দী। তাঁর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে বিজেপি ও সিপিএমএর দাবি, একদিন মুখ্যমন্ত্রীর পাশে হাঁটা ছাড়া শতাব্দীকে কোথাও প্রতিবাদ করতে বা প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি।
এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “প্রতিবাদ হয়তো সকলেই করছেন, কিন্তু কেউ কেউ প্রতিবাদ করছেন প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবিতে, আর কেউ কেউ প্রতিবাদ করছেন দোষীদের আড়াল করতে। আমরা সরকার বদলের জন্য আন্দোলন করিনি। কিন্তু সাধারণ মানুষের জনরোষ দেখে হয়তো ওঁরা সরকার বদলের ভয় পাচ্ছেন।”
বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বাবন দাস বলেন, “কোনও প্রতিবাদেই তো শতাব্দী রায়কে দেখা যায়নি। উনি কী ভাবে প্রতিবাদ করছেন, তা উনিই জানেন। তবে সরকার সমাজের বাইরে নয়। তবে সমাজ বদলের আন্দোলনে যদি সত্যিই সমাজের মানসিকতা বদলায়, তা হলে সেই বদলে যাওয়া সমাজ এই সরকারকে বদলাতে বিশেষ সময় নেবে না।”
পাল্টা শতাব্দীর দাবি, “আমি কী ভাবে প্রতিবাদ করছি, তার জবাবদিহি আমি অন্যদের দিতে যাব না। আমি আমার মতো করে প্রতিবাদ করছি। ওঁরা বরং সিবিআইকে প্রশ্ন করুন, কেন এখনও তদন্ত শেষ করতে পারল না।”