বিরোধীদের পাল্টা ‘মার’, পথ অবরোধ

বিজেপি’র জেলা সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘মল্লারপুর ২ ও বাজিতপুর পঞ্চায়েতের দু’জন মহিলা প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মল্লারপুর শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৪৮
Share:

মারের পাল্টা মার। লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূল কর্মীকে তাড়া বিজেপি-র। মল্লারপুরের বাহিনা মোড়ে। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে দফায় দফায় গোলমালের জেরে উত্তপ্ত হল ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির মল্লারপুর এলাকা।

Advertisement

বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন ব্লক অফিসের ভিতরে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীদের কাছ থেকে মূল নথি কেড়ে নিয়ে মারধর করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিজেপি কর্মীরা মল্লারপুর বাহিনা মোড়ে, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ অবরোধ শুরু হয়। ২টো নাগাদ পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ উঠে যায়। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, অবরোধ প্রত্যাহারের পরে ব্লক অফিসে মনোনয়ন জমা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল কর্মীদের ঘেরাও করেন বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূল কর্মীদের টোটো থেকে নামিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

বিজেপি’র জেলা সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘মল্লারপুর ২ ও বাজিতপুর পঞ্চায়েতের দু’জন মহিলা প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ব্লক অফিসের ভিতরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রথীন সরকারের নেতৃত্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়। আমাদের মহিলা প্রার্থীদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। দলীয় কর্মীদেরও মারধর করে তৃণমূল।’’ তিনি জানান, প্রতিবাদে মনোনয়ন জমা করতে দেওয়ার দাবিতে পথ অবরোধ করা হয়। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। তৃণমূল অবশ্য দাবি, কাউকে মারধর করা বা মনোনয়নে বাধা দেওয়া হয়নি। উল্টে বিজেপি কর্মীরা তাঁদের দুই কর্মীকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।

Advertisement

এ দিনই একই অভিযোগ উঠেছে রামপুরহাট ১ ও মুরারই ২ ব্লকেও। অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তৃণমূলের কর্মীরা বিরোধীদের বাধা দেয় এবং তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে ব্লক অফিসের সামনে আক্রান্ত হন রামপুরহাট বার অ্যাসোসিয়েশনের-সহ সম্পাদক প্রদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়। প্রদ্যুৎবাবুর অভিযোগ, ‘‘সিপিআই (এলএম) লিবারেশন দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য ব্লক অফিসে ঢুকছিলাম। ব্লক অফিসে যাওয়ার মুখে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পথ আটকায় এবং মাটিতে ফেলে যথেচ্ছ মারধর করে।’’

ঘটনার পরেই রামপুরহাট বার অ্যাসোসিয়েশনে চলে আসেন প্রদ্যুৎবাবু। তিনি রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীদের একাংশ ঘটনার প্রতিবাদে আদালতে বিক্ষোভ দেখান। প্রদ্যুৎবাবু বর্তমানে রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর।

মুরারই ২ ব্লকের কাশিমনগর গ্রামের এক নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে গেলে ব্লক অফিসের সামনে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।

জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা রামপুরহাট মহকুমা পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এ সব ঘটনার কথা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। আর মল্লাপুরের বিষয়টি দেখছেন বিধায়ক অভিজিৎ রায়। যা বলার উনিই বলবেন।’’ মোবাইল বন্ধ থাকায় অভিজিৎবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement