বাড়িতে সফিকুল। নিজস্ব চিত্র।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য পরিযায়ী শ্রমিকের দু’হাতেই সফল হল অস্ত্রোপচার। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মুরারই ২ ব্লকের বসন্তপুর গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিক বছর তিরিশের সফিকুল ইসলাম পেশায় রাজমিস্ত্রী। লকডাউনের সময় কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। এলাকায় ধার হয়ে গিয়েছিল অনেক। ধার শোধের জন্য বিহারে কাজ করতে গিয়েছিলেন মাসখানেক আগে। কাজ করে ধার শোধও করে দিয়েছিলেন। পরিজনেরা জানান, ১৬ ডিসেম্বর কাজ করতে গিয়ে এক তলা ছাদ থেকে পড়ে দুই হাতই ভেঙে যায় তাঁর। পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে।
স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখান থেকে জানানো হয় অস্ত্রোপচার করতে হবে। কোনও রকমে বিহার থেকে ট্রেনে রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় সফিকুলকে। সেখানেও চিকিৎসা হলেও অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা না থাকায় চিন্তায় পড়ে পরিবার। ঘটনাটি জানাজানি হতেই পাড়ার সকলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করার পরামর্শ দেন। ২৪ তারিখ কার্ড তৈরি হয়ে যায়। সেই কার্ড দিয়ে রামপুরহাটে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁর সফল অস্ত্রপ্রচার হয়।
সফিকুল বলেন, ‘‘সরকার সকলের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ব্যবস্থা করছেন। এই কার্ড দিয়ে আমাদের মত দুঃস্থ মানুষজনের কত উপকার হয় তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। টাকার অভাবে আমার দুটি হাত পঙ্গু হয়ে যেত। সংসার কেমন করে চালাবো এই চিন্তায় রাতের পর রাত ঘুমোতে পারতাম না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য দুটি হাত ফিরে পেলাম।’’
গ্রামের বাসিন্দা, যুবক আব্দুল আলিম উজ্জ্বল বলেন, ‘‘ঘটনাটি শোনার পরেই বিডিও অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। বিডিও (মুরারই ২) মহম্মদ নাজির হোসেন ও যুগ্ম বিডিও অনির্বাণ সাহা বিষয়টি জানার পরে তৎপরতার সঙ্গে কার্ড করে দেন।’’