বোলপুরে সুফল বাংলার স্টলে পুলিশ পাহারায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। নিজস্ব চিত্র
পেঁয়াজ সামলে রাখার ভারও নিতে হল পুলিশকে। সোমবার বোলপুরে সুফল বাংলার স্টল থেকে পেঁয়াজ লুটের অভিযোগ ওঠায় মঙ্গলবার সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ দিন একই ছবি দেখা গিয়েছে রামপুরহাটেও।
সরকারি ভর্তুকিতে ৫৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে সুফল বাংলায়। শনিবার বোলপুরের ওই স্টল থেকে ৫৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। প্রথমে ১ কেজি করে দেওয়া হলেও, পরে ভিড় বাড়ায় ৫০০ গ্রাম করে পেঁয়াজ দেওয়া হয় বলে ক্রেতাদের দাবি। যা নিয়ে ক্রেতা এবং সুফল বাংলার কর্মীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ক্রেতারা দাবি জানাতে থাকেন, প্রত্যেককে ১ কেজি করে পেঁয়াজ দেওয়া হোক। একটা সময় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় এবং সেই সুযোগে স্টল থেকে ১৫ থেকে ২০ কেজি পেঁয়াজ লুট করা হয় বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার সকালে স্টলের সামনে গিয়ে দেখা গেল, পেঁয়াজের সুরক্ষায় রাখা হয়েছে দু’জন কনস্টেবল সহ চার সিভিক ভলান্টিয়ারকে। সকাল থেকেই পেঁয়াজ কেনার জন্য সুফল বাংলার স্টলে ভিড় জমান দূর-থেকে আসা ক্রেতারাও। এ দিনও স্টল থেকে ক্রেতাদের ৫০০ গ্রাম করে পেঁয়াজ ৩০ টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়। স্টল থেকে জানানো হয়, সকল
ক্রেতা যাতে পেঁয়াজ পান তার জন্য এ দিন প্রত্যেক ক্রেতাকে ৫০০ গ্রাম করে পেঁয়াজ দেওয়া হবে। সুফল বাংলার কর্মী তাপস পাত্র বলেন, ‘‘সকল ক্রেতাকে পেঁয়াজ দিতেই পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হয়েছে।’’
এতে ক্রেতারা অবশ্য সন্তুষ্ট নন। মান্তু দাস, রঞ্জন সরকার,
মুনমুন দাসরা বলছেন, ‘‘দীর্ঘ লাইন দেওয়ার পর মাত্র ৫০০ গ্রাম করে পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে। অন্তত ১ কেজি করে দিলে সুবিধা হয়।’’ রামপুরহাট শহরের ধূলাডাঙা রোডে অবস্থিত সুফল বাংলায় অবশ্য ক্রেতাপিছু ১ কেজি করে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে। সকাল আটটা থেকে দুপুর বারোটা এবং বিকেলে চারটের পর
থেকে রাত আটটা পর্যন্ত লাইন দিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। রামপুরহাটের সুফল বাংলা বাজারের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তীর্থ ঘোষ বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ মেনে ৫৯ টাকা প্রতি কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।’’
এ দিকে, মঙ্গলবার সকালে লাইন দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে এসে রামপুরহাটে এক বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে পড়েন। লাইনে দাঁড়ানো লোকজনই মাথায় জল দিয়ে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।