প্রতীকী ছবি।
হাতির হানায় ভাঙল ভাঙল ঘর। তাদের তাড়াতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আহত হলেন এক হুলাকর্মী। শুক্রবার ভোরে রাইপুরের ধানাড়া হয়ে কংসাবতী নদী পেরিয়ে সারেঙ্গায় এক দল হাতি ঢোকার পরে তাই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
ডিএফও (বাঁকুড়া দক্ষিণ) ই বিজয় কুমার বলেন, ‘‘দলে দু’টি শাবক-সহ মোট পাঁচটি হাতি রয়েছে। শুক্রবার ভোরে কংসাবতী নদী পেরিয়ে দলয়ি সারেঙ্গা রেঞ্জে ঢোকে।’’ তিনি জানান, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের মালিক লিখিত আবেদন জানালে বনবিভাগের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন হাতির দলটি সারেঙ্গা রেঞ্জের ছাতালি এলাকায় ঢোকে। সেখানে একটি হাতি শ্যামল হাঁসদার ঘরের ইঁটের দেওয়ালের খানিকটা ভেঙে দেয়। শুঁড় ঢুকিয়ে কিছু ধান টেনে নিয়ে ছড়িয়ে নষ্ট করে বলে অভিযোগ। শ্যামল বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই জঙ্গলে হাতির দল রয়েছে। তাই খুব আতঙ্কে রয়েছি।’’ ওই এলাকায় হাতি তাড়াতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আহত হন হুলা কর্মী বিপ্লব মাহাতো। তাঁর বাড়ি সারেঙ্গা থানার কাঁড়ভাঙা গ্রামে। সারেঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সারেঙ্গার ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জার শুভাশিস চৌধুরী বলেন, ‘‘হাতির দলটি সারা দিন ছাতালি গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে রয়েছে। অনেকে ভিড় করে তাদের উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করে। তাদের সাবধান করে মাইকে প্রচার করা হয়েছে।’’
তিনি জানান, বিকেল থেকে হাতিগুলিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের রূপনারায়ণ ডিভিশনের দিকে সরানোর চেষ্টা শুরু হয়।