রাতে হঠাৎ থানায় ঢুকে সরাসরি মহিলা থানার ওসিকেই ইউনিফর্ম ধরে টানাটানি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক এনভিএফ কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতের পুরুলিয়া মহিলা থানার ঘটনা। এই ঘটনাকে ঘিরে কার্যত অবাক পুলিশ কর্মীরা। জেলা পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘অভিযুক্ত এনভিএফ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ বৃহস্পতিবার ধৃত এনভিএফ কর্মীকে আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে অন্য দিনের মতোই মহিলা থানায় নিজের চেয়ারে বসে কাজ করছিলেন ওসি পারমিতা সমাদ্দার। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আচমকা থানার মধ্যে ঢোকেন পুরুলিয়া মফস্সল থানায় কর্মরত এনভিএফ কর্মী ফলারি কুমার। থানায় ঢুকেই তিনি সরাসরি ওসিকে গালিগালাজ দিতে শুরু করেন। এই ঘটনায় কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে যান সে সময় উপস্থিত অন্য পুলিশ কর্মীরা। তাঁরা ওই এনভিএফ কর্মীকে নিরস্ত করার চেষ্টা করলে তাঁদেরও হুমকি দেওয়া হয়। এরই মধ্যে আচমকাই ওসির ইউনিফর্ম ধরে চেয়ার থেকে টেনে তোলারও চেষ্টা করেন ওই এমভিএফ কর্মী। সঙ্গে সঙ্গেই পুরুলিয়া সদর থানায় খবর দেওয়া হয়।
মহিলা থানার অবস্থান রাঁচি রোড-শিমুলিয়া বাইপাসের ধারে ভাটবাঁধ এলাকায়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ গিয়ে এনভিএফ কর্মীকে আটক করে। ওই ওসির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত এনভিএফ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এই এনভিএফ কর্মী কেন এ রকম আচরণ করলেন, তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি কোনও পুলিশ কর্তাই।
মহিলা থানার ওসি-র কাছেও এই এনভিএফ কর্মীর আচরণের কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।