ভিড় দুবরাজপুরে শ্মশানী কালীর ভাসানে। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত।
প্রথা মেনেই একাদশীর দিন বিসর্জন করা হয় দুবরাজপুরের পাহাড়েশ্বরের শ্মশানী কালীর। কালী ভাসান দেখেতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে। করোনা আবহেও শনিবার বিকেলে সেই ছবির কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেল না।
এ বারই প্রথম ভিড় সামাল দিতে বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়েছিল। কিন্ত, সেই ব্যারিকেডকে উপেক্ষা করে এ দিন যে ভাবে মাস্ক ছাড়া শয়ে শয়ে মানুষ গাদাগাদি ভিড়ে দাঁড়িয়ে কালী ভাসান দেখলেন, তাতে দূরত্ববিধি বা কোভিড বিধি মানা হয়নি এক ফোঁটাও। এত মানুষের জমায়েত সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িতে তুলল বলেই মত চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের।
পুজোর সূচনা, পুজোর রীতি, থেকে বিসর্জন—দুবরাজপুরের শতাব্দী প্রাচীন শ্মশানী কালী নিয়ে নানা কাহিনি রয়েছে। রয়েছে চমকও। এই কালীর বিসর্জন হয় একাদশীতে। ত্রয়োদশীর দিন পুকুর থেকে কাঠামো তুলে ফের প্রতিমা গড়ার কাজে হাত পড়ে। বহুকাল ধরে এটাই রীতি। দুবরাজপুরের পাহাড়েশ্বরে মামা-ভাগ্নে পাহাড়ের উত্তরে প্রায় পাহাড়ের কোলেই শ্মশানী কালীর মন্দির। একদা জঙ্গল ঘেরা দুবরাজপুর শহরে পরিণত হলেও রীতি বদলায়নি ওই পুজোর। মন্দির থেকে মৃণ্ময়ী মূর্তি বের করে বিসর্জন করা হয় মন্দির সংলগ্ন পুকুরে। বিশাল দেবী মূর্তি বের করে আনতে হিমশিম খেতে হয় বিসর্জনের দায়িত্বে থাকা লোকজনকে। বিশাল মাপের ওই কালী ভাসান দেখতেই ভিড় জমে। অন্য বারের মতো এ বারও লোকজমায়েত রোখা যায়নি। ছোট ছোট ছেলেমেয়েও ছিল অনেক সংখ্যায়। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘এখন সংক্রমণ আটকাতে কালী-ই ভরসা!’’