বোলপুরের রাস্তা থেকে উধাও বিজেপির পতাকা। —নিজস্ব চিত্র।
বোলপুরে সাড়ম্বরে সভা করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এই মুহূর্তে সেখানে গেরুয়া শিবিরের উপস্থিতি জানান দেওয়ার মতো কোনও চিহ্নই বাকি নেই। রাস্তাঘাট থেকে পদ্ম শিবিরের যাবতীয় পতাকা এবং ফ্লেক্স উধাও হয়ে গিয়েছে। তাতেই অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগে ফের তেতে উঠছে রাজনৈতিক মহল।
গত ১৯ ডিসেম্বর রাজ্যে দু’দিনের সফরে আসেন অমিত। পর দিন বোলপুরে সভা করে তিনি। দেখা করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে। সেই সময় রাস্তায় জনজোয়ার সামাল দেওয়াই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছিল। কিন্তু বিশ্বভারতীর প্রাঙ্গনে রাজনীতিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য কম সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়নি বিজেপি-কে।
কিন্তু তার পর দু’সপ্তাহ যেতে না যেতেই শুনশান বোলপুরের রাস্তাঘাট। বিজেপির কোনও পতাকা বা ফ্লেক্সের অবশিষ্টও পড়ে নেই সেখানে। তাতেই প্রশ্ন উঠছে, অমিতের নজর কাড়ার জন্য এত জাঁকজমক করলেও, তিনি চলে যাওয়া মাত্রই কি সব খুলে নেওয়া হয়েছে? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে? বিজেপির যদিও অভিযোগ, পতাকা খোলার কাজটা একমাত্র তৃণমূলই করতে পারে।
পতাকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেন, ‘‘আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা হারাবে তৃণমূল। তাই বিজেপির পতাকা দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। তারাই পতাকা খুলে নিয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ যদিও খারিজ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো বিজেপির পুরনো অভ্যেস। নিজেরাই নিজেদের পতাকা খুলে নিয়েছে। আমাদেরও তো অর্ধেক পতাকাই নেই।’’ বিজেপি যতই হম্বিতম্বি করুক না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের সরকারই ফের জয়লাভ করবে বলেও দাবি করেন তিনি।