আলোচনা ছাড়া বদল নয়, দাবি

আগামী ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতিতে রঘুনাথপুরের ব্লকডাঙায় পঞ্চায়েত সমিতির কমিউনিটি হলে কর্মিসভা ডেকেছিল আইএনটিটিইউসি।

Advertisement

শুভ্রপ্রকাশ মণ্ডল 

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৯ ০১:১৫
Share:

মঞ্চে মন্ত্রী। ছবি: সঙ্গীত নাগ

লোকসভার ফলের ধাক্কায় দলের শ্রমিক সংগঠনে রদবদল হবে কি না, তা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা চলছিল। সেটাই আরও জোরদার হল কর্মিসভায়।

Advertisement

রঘুনাথপুরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির কর্মিসভা ছিল শনিবার। স্থানীয় বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউড়ি, সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রফুল্ল মাহাতোরা পুরুলিয়ার পর্যবেক্ষক তথা শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের সামনেই দাবি তুললেন, রদবদল করতে হলে সেটা করতে হবে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে। ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। তবে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি শ্রমমন্ত্রী। সভার পরে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘কর্মীসভায় দল ও সংগঠনের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই বিষয় বাইরে বলার নয়।” কর্মীসভায় সংবাদমাধ্যম কেন ঢুকেছে, পাল্টা সেই প্রশ্নও তোলেন মন্ত্রী।

আগামী ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতিতে রঘুনাথপুরের ব্লকডাঙায় পঞ্চায়েত সমিতির কমিউনিটি হলে কর্মিসভা ডেকেছিল আইএনটিটিইউসি। সেখানেই বক্তৃতা করতে উঠে রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউড়ি বলেন, ‘‘যিনি কোনও দিনই শ্রমিক সংগঠন করেননি, তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হলে সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’’

Advertisement

বর্তমান সভাপতি প্রফুল্ল মাহাতোর বদলে আইএনটিটিইউসির মাথায় অন্য মুখ আনা হতে পারে বলে কানাঘুষো চলছে সংগঠনের অন্দরে। জেলাপরিষদের এক সদস্য তথা জেলা শিক্ষা দফতরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলে আসা তৃণমূলের এক নেতার হাতে শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব যেতে পারে বলে জল্পনা করছেন কেউ কেউ। এ দিন পূর্ণবাবুর বক্তব্যের সময়ে সভায় আসেননি শ্রমমন্ত্রী। তবে মন্ত্রীর ঠিক পাশে দাঁড়িয়েই মঞ্চ থেকে প্রফুল্লবাবু বলেছেন, ‘‘কলকাতা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাউকে দায়িত্ব দিলে আখেরে সংগঠনই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” বিধায়কের সুরেই তাঁর বক্তব্য, ‘‘শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত নন তাঁদেরকে মাথায় আনবেন না।”

এ দিনের বৈঠকে শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেনেরও থাকার কথা ছিল। দোলা আসেননি। মলয়বাবু মঞ্চ থেকে বলেছেন, ‘‘আগামী শনিবার সংগঠনের নেতাদের নিয়ে সভা করবেন দোলা সেন।’’ আর মঞ্চ থেকেই শ্রমমন্ত্রীর কাছে প্রফুল্লবাবু আবেদন করেছেন, ‘‘দোলাদির উপস্থিতিতে সমস্ত ইউনিট সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে নেতৃত্বে কারা থাকবেন সেটা ঠিক করুন।”

সংগঠনের জেলা সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় পরামানিক বলেন, ‘‘শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যোগ মতো কাউকে মাথায় বসালে এই পরিস্থিতিতে সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। এই বার্তা শ্রমমন্ত্রীর মাধ্যমে সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রীর কাছে দিয়েছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement