Purulia

ফের আক্রান্ত, ‘লকডাউন’ চান অনেকেই

কিছু দিন আগে পুরুলিয়া শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার করোনা ধরা পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২০ ০৪:৫১
Share:

ব্যারিকেড: পুরুলিয়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের শনিমন্দির এলাকায় যাতায়াত বন্ধ করতে রাস্তা আটকাচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

পুরুলিয়া শহরে রবিবার নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল। এর ফলে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা দুই থেকে বেড়ে দাঁড়াল চারে। তবে প্রথম যিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন, তিনি সুস্থ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে শহরে কন্টেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা তিন। এই পরিস্থিতিতে পুরুলিয়া শহরে লকডাউনের দাবি উঠেছে নানা মহলে।

Advertisement

কিছু দিন আগে পুরুলিয়া শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার করোনা ধরা পড়ে। তিনি শহরের একটি বিয়েবাড়িতে যোগ দেওয়ায় সেখানকার আমন্ত্রিতদের খোঁজ শুরু করে তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা শুরু করা হয়।

অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর বলেন, ‘‘নতুন করে আক্রান্তদের এক জন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি পুরুলিয়া শহরের ওই বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আক্রান্ত অন্য জন পাশের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁর এক আত্মীয় ওই বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন।’’ তবে প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, সেই আত্মীয় ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা। তিনি সেখানেই ফেরত গিয়েছেন।’’

Advertisement

আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার ফলে শহরে বেড়েছে কনটেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা। রবিবার শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পোস্টঅফিস মোড় সংলগ্ন এলাকা এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডের দশেরবাঁধ ও আমলাপাড়ার মাঝামাঝি এলাকা কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই নিয়ে বর্তমানে শহরে কনটেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা দাঁড়াল তিন। এ দিন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভুঁইয়াপাড়ার কনটেনমেন্ট জ়োনের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

ঘটনা হল, এ দিন শহরের যে দু’টি এলাকায় দুই আক্রান্তের হদিশ মিলেছে, তা কার্যত পুরুলিয়ার প্রাণকেন্দ্রে। বিশেষত পোস্টঅফিস মোড় এলাকা শহরের জনবহুল চৌমাথা মোড়। এই এলাকা ও আমলাপাড়া সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর খুচরো ও পাইকারি দোকান রয়েছে। সেখানে শহরের বাইরের ক্রেতারাও আশেন। যদিও রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বলে সমস্ত দোকানই ছিল বন্ধ। এ দিন সকাল থেকেই বাঁশের ব্যরিকেড বেঁধে এই দু’টি এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়। এলাকায় জীবাণুনাশক ছড়ানো এবং গণ্ডিবদ্ধ এলাকার বাসিন্দাদের শারীরিক পরীক্ষা হয়।

এ দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে ফের দুই আক্রান্তের হদিশ মেলায় শহরে সম্পূর্ণ লকডাউনের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর বিভাসরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানের পরে ইতিমধ্যেই তিন জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মনে করা হচ্ছে ওই বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান থেকেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। অন্তত সাত দিন শহরে সম্পূর্ণ লকডাউন চাইছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। আমরা মহকুমাশাসককে তা জানিয়েছি।’’

বিদায়ী উপপুরপ্রধান বৈদ্যনাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘শহরের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে অনেকে লকডাউন চাইছেন বটে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন বৈঠক ডেকেছে।’’ মহকুমাশাসক (পুরুলিয়া সদর) প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেউ কেউ লকডাউনের কথা বলেছেন বটে। সোমবার এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement