— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বধূকে ধর্ষণ করতে গিয়ে বাধা পাওয়ায় তরুণী ও এক বৃদ্ধাকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ। ঘটনার পর অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুরে।
যুবকের বাড়ি মল্লারপুর থানার আওদা গ্রামে। আক্রান্ত দুই মহিলা তাঁরই প্রতিবেশী। জখম অবস্থায় তাঁদের রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই গৃহবধূ সন্তানকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় হঠাৎই ওই যুবক ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। অভিযোগ, বাধা দিতে গেলে তাঁকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়। কোপানো হয় তাঁর ঠাকুমাকেও। আক্রান্ত মহিলা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সম্পর্কে তাঁর দূর সম্পর্কের ভাসুর।
গ্রামে বিষয়টি জানাজানি হতেই খবর যায় পুলিশের কাছেও। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মল্লারপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে তাঁর বাড়ি গেলেও রাতভর তাঁকে পাওয়া যায়নি। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে একটি গাছ থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহটি নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুখ খোলেননি। জানিয়েছেন, বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন।