প্রতীকী ছবি।
মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করল বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। বাঁকুড়ার কদমাঘাটি এলাকার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝেমধ্যেই টিভি দেখার নাম করে নাবালিকার বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন প্রতিবেশী এক ব্যক্তি। কারও কোনও দিন সন্দেহ হয়নি। বুধবার দুপুরে নাবালিকার ঠাকুমাকে চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া শহরে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। সেই সময় বাড়িতে একাই ছিল ওই নাবালিকা। অভিযোগ, বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে ওই টোটোচালক নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে তাকে যৌন নির্যাতন করে। আচমকাই নাবালিকার ঠাকুমা বাড়িতে ফিরে এলে হাতেনাতে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন। তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে অভিযুক্ত নিজের বাড়িতে পালায়।
এর পর বুধবার সন্ধ্যায় এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবিতে তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে বুধবার রাতেই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। নাবালিকার ঠাকুমা বলেন, “নাতনি ওকে জেঠু বলে ডাকত। সে যে এমন কাণ্ড করে বসবে তা জানা ছিল না। বাঁকুড়ায় চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরে নিজের চোখে ঘটনাটি দেখেই চমকে উঠি। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” অভিযুক্তের স্ত্রীর পাল্টা দাবি, “আমার স্বামী নির্দোষ। এই পাড়ার সবাই আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করে স্বামীকে ফাঁসিয়েছে। ঘটনার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে আমার স্বামী ওই নাবালিকার বাড়িতে টিভি দেখতে গিয়েছিল। তার পরেই এই কাণ্ড।”