ক্ষোভ: বিষ্ণুপুরের মড়ার এলাকায় চলছে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
এনআরসি এবং নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে সোমবারও মিছিল, বিক্ষোভ, অবরোধ চলল পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায়।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ বৈতল থেকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে একটি মিছিল যায় মড়ার ১ নম্বর ক্যাম্পে। তবে মিছিলের পাশ দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে তৎপর ছিল পুলিশ বাহিনী। গ্রামাঞ্চল থেকে একটি মিছিল হাজির হয় মড়ার ১ নম্বর ক্যাম্পে। সেই মিছিলের কিছু লোকজন জাতীয় সড়ক অবরোধ করে পথেই বসে পড়েন। রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে যায় প্রচুর বাস। প্রায় আধ ঘণ্টা যান চলাচল স্তব্ধ থাকে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল হয়েছে। দু’টি মিছিলের কোনওটিতেই রাজনৈতিক কোনও পতাকা চোখে পড়েনি। কারও কারও হাতে ছিল জাতীয় পতাকা।
রবিবার নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় তৃণমূলের একটি মিছিল থেকে গোলমাল ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কুম্ভস্থলে বিজেপির অফিস। জখম হয়েছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও কাঠ চেরাই কলের কর্মী। তার পরেই জেলা প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলকে মিছিল বা পথসভা করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মহকুমা প্রশাসন। মড়ার এলাকার বিজেপি নেতা বিমল ঘরামি বলেন, “বিজেপির কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে আমরা প্রতিবাদ মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিই। পুলিশ অনুমতি দেয়নি। কিন্তু সোমবারই জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হল। রং-ভেদে নীতির পরিবর্তন ঠিক নয়।” বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও অবশ্য বলেন, ‘‘পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবেই কাজ করছে।’’
এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) প্রিয়ব্রত বক্সী বলেন, “মিছিল করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল। একটি সংগঠনের পূর্ব ঘোষিত মিছিল সোমবার বাঁকাদহ বৈতল থেকে মড়ার ১ নম্বর ক্যাম্প পর্যন্ত রাস্তার ধার ঘেঁষে এসেছে। মানুষজনকে সরিয়ে দিতে মিনিট কুড়ি সময় লেগেছে। তাতে যান নিয়ন্ত্রণে কোনও প্রভাব পড়েনি।” সোমবার বাঁকুড়া শহরে মিছিল করে তৃণমূল। এ দিন দুপুরে লালবাজার এলাকার হিন্দুস্কুল মাঠ থেকে মিছিল শুরু হয়ে শহর পরিক্রমা করে। মিছিল শেষে মাচানতলা মুক্তমঞ্চে সভা হয়। সোমবার ইন্দাসের সিনেমাতলা থেকে পীরতলা পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। রবিবার বিকেলে ছাতনার কমলপুর মোড়ে তৃণমূলের মিছিল হয়েছে। সোমবার মিছিল ও সভা করে বড়জোড়া ব্লক কংগ্রেসও।
সোমবার পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের উদ্যোগে পুরুলিয়া শহরে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মিছিল হয়েছে। মিছিলে শামিল হয়েছিলেন পুরুলিয়া শহর-সহ পাশের দুই ব্লক পুরুলিয়া ১ ও পুরুলিয়া ২-এর নেতা কর্মীরা। জুবিলি ময়দান থেকে মিছিল শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে জুবিলি ময়দানেই শেষ হয়।