প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো সেই ছবি। মোদীর পাঠানো চিঠি। নিজস্ব চিত্র।
আঁকা ছবি দেখিয়ে প্রশংসা পেয়েছেন আত্মীয়-পরিজনদের। কিন্তু ভাবতে পারেননি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা পাবেন। খাতড়ার বিবেকানন্দ রোডের ১৯ বছরের তরুণ মহান দত্তের কাছে সম্প্রতি মোদীর স্বাক্ষরিত চিঠি এসেছে। যেখানে মোদী মহানের আঁকা তাঁর প্রতিকৃতি দেখে প্রশংসা করে আগামী দিনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মোদী লিখেছেন, এই ধরনের কাজ তাঁকে দেশবাসীর সেবা করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।
দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কলেজের আইনের ছাত্র মহান জানান, শিক্ষকের কাছে তিনি আঁকা শিখেছেন।মাধ্যমিকের সময় পড়াশোনার চাপে আঁকায় ছেদ পড়ে যায়। তবে করোনা অতিমারির সময় থেকে আবার আঁকা শুরু করেন। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, ক্রিকেটার বিরাট কোহলি থেকে শিবের ছবি পেনসিলে স্কেচ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভাল লাগে মোদীকে, ভাল লাগে প্রধানমন্ত্রীর দেশ ভক্তিকে। সুপ্ত বাসনা ছিল মোদীর ছবি যদি তাঁর কাছে পৌঁছনো যায়।’’
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মোদীর বিভিন্ন সভায় তাঁর ছবি দিতে অনেককেই দেখেন মহান। মহানের বাবা খাতড়া বাজারের অলঙ্কার ব্যবসায়ী মন্টু দত্ত বলেন, ‘‘ছেলের ইচ্ছায় স্থানীয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাঁরাই ওন্দার নিকুঞ্জপুরের রাজনৈতিক সভায় মোদীর কাছে ছবি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে দেন।’’ মহান বলেন, ‘‘বাবা-মায়ের সঙ্গে নিকুঞ্জপুরের সভায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আঁকা ছবি তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীর হাতে তুলে দিই। কিন্তু এত ব্যস্ততার মধ্যেও সেই ছবি দেখে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করে চিঠি পাঠাবেন ভাবিনি।’’ চিঠিতে শিল্পীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে তাঁর এই সুন্দর কাজ যে মোদীর হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে সে কথা লেখা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ যে শিল্প, সাহিত্য ও সঙ্গীতের পীঠস্থান, সে কথা উল্লেখ করে মহান সেই ধারা বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।
নিজেদের রাজনৈতিক ভাবে নিরপেক্ষ দাবি করে মহানের বাবা মন্টু দত্ত বলেন, ‘‘ছোটবেলায় সঙ্ঘে শরীরচর্চা করতাম। কোনও দিন রাজনীতিতে যোগ দিইনি। ছেলেও নিরপেক্ষ। ছেলের স্বপ্নপূরণে খুশি সবাই।’’