বীরভূম তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। —ফাইল চিত্র।
কোর কমিটি থেকে আগেই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এ বার বীরভূমের নির্বাচনী কমিটি থেকেও বাদ পড়লেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। সম্প্রতি ওই কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে কাজলের নাম ছিল না। দলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে যদিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি কাজল।
বীরভূম জেলায় দু’টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে— বীরভূম এবং বোলপুর। দু’টি কেন্দ্রের জন্যই আলাদা করে নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছে রাজ্যের শাসকদল। দেখা গিয়েছে, বোলপুরের নির্বাচনী কমিটির তালিকায় কাজলের নাম রয়েছে। কিন্তু বীরভূমের তালিকায় তাঁর নাম রাখা হয়নি। বিধায়ক থেকে ব্লক সভাপতি— দলের সব নেতাই কমিটিতে রয়েছেন। দলীয় পদাধিকারীদের নামও রয়েছে সেখানে। এ প্রসঙ্গে কাজলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই ঠিক। আমি এ বিষয়ে কোনও কথা বলব না। দলীয় নেতৃত্ব আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তা-ই পালন করব।’’
কাজল দলের সিদ্ধান্তকে মেনে নিলেও এ নিয়ে আলোচনা থামছে না। এর আগে গত মাসেই তাঁকে বীরভূমের কোর কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তিহাড় জেলে বন্দি। তাঁর অনুপস্থিতিতে বীরভূমে তৃণমূলের সংগঠন চালাতে ৯ সদস্যের কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৩ জানুয়ারি কালীঘাটে নিজের বাসভবনে বীরভূমের নেতৃত্বের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন তিনি। সেখানে ৯ জনের কোর কমিটি ছাঁটাই করে পাঁচ সদস্যের করে দিয়েছিলেন। তাতে ছিলেন চন্দ্রনাথ সিংহ, অভিজিৎ সিংহ রায়, বিকাশ রায়চৌধুরী, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুদীপ্ত ঘোষ। বাদ পড়েছিলেন কাজল শেখ, শতাব্দী রায়েরা। লোকসভার দিকে তাকিয়ে শতাব্দীর বাদ যাওয়া ছিল স্বাভাবিক। কারণ, সাংসদদের এখন স্রেফ নিজের কেন্দ্রে মনঃসংযোগ করতে বলা হয়েছে। তবে, কাজল বাদ পড়ায় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। শুধু বাদ পড়াই নয়, তৃণমূল সূত্রে খবর, দলনেত্রীর কাছে নিজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য রীতিমতো ধমক খেতে হয়েছিল কাজলকে। তার পর জেলার নির্বাচনী কমিটি থেকেও কাজল বাদ পড়লেন।