শেষকৃত্যে কাঁদছেন সিদ্ধার্থের বাগদত্তা সানিয়া। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
দিনকয়েক আগেই গুজরাতের জামনগরে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সিদ্ধার্থ যাদব। দুর্ঘটনার মাত্র ১০ দিন আগেই বাগদান হয়েছিল তাঁর। সেই আবহে এ বার প্রকাশ্যে এল সিদ্ধার্থের বাগদত্তা সানিয়ার কান্নার একটি ভিডিয়ো (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। শেষকৃত্যে আত্মীয়স্বজনের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন তরুণী।
সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমেও। তাতেই দেখা যাচ্ছে, সিদ্ধার্থের দেহের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন সানিয়া। কখনও পাগলের মতো কাঁদছেন, বিলাপও করছেন। কখনও শেষ বারের মতো আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছেন তাঁকে। ভিডিয়োয় কাঁদতে কাঁদতে সানিয়া বলছেন, ‘‘আমাকে এক বার ওর মুখ দেখতে দাও। তুমি কেন আমাকে নিয়ে গেলে না? তুমি তো আমাকে কথা দিয়েছিলে।’’ শুক্রবার সিদ্ধার্থের মরদেহ হরিয়ানার রেওয়ারি জেলার মাজরা ভালখি গ্রামে তাঁর জন্মস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
গত বুধবার রাতে গুজরাতের জামনগরে প্রশিক্ষণের সময় ভেঙে পড়ে আইএএফের একটি জাগুয়ার বিমান। দুই আসনবিশিষ্ট ওই বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। এর পর ভেঙে পড়ে সেটি। গুরুতর জখম হন বিমানে থাকা দু’জনই। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ২৮ বছর বয়সি পাইলট সিদ্ধার্থের। এই দুর্ঘটনার মাত্র ১০ দিন আগে, গত ২৩ মার্চই সানিয়ার সঙ্গে বাগদান হয়েছিল তাঁর। চলতি বছরের ২ নভেম্বর বিয়ে করার কথা ছিল তাঁদের। তার আগেই প্রাণ গেল যুবকের। অন্য দিকে, কী ভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল, যান্ত্রিক ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও কেনও ওই বিমানকে ওড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, এমন নানা প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরাই। গোটা ঘটনা নিয়ে অন্তর্তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।