—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্বভারতীর আম্রপালি হোস্টেলের এক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীকে প্রথমে বিশ্বভারতীর নিজস্ব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে দ্রুত বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম অনামিকা। তিনি বারাণসীর বাসিন্দা। বিশ্বভারতীর শিল্প সদনে পড়াশোনা করছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ আম্রপালি গার্লস হস্টেলে তাঁকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন কয়েক জন। তার পরেই কর্তৃপক্ষ নিয়ে যান হাসপাতালে। ছাত্রীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যেরা বারাণসী থেকে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করলেও নেপথ্যে কোনও রহস্য রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেন এই পদক্ষেপ করলেন ছাত্রী, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁর সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
ছাত্রীর মৃত্যুর খবরে পুরো বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহপাঠীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা হতবাক ও মর্মাহত। শিক্ষার্থী এবং হস্টেল কর্তৃপক্ষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, এবং এই ঘটনার পর হস্টেলের নিরাপত্তা ও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে আরও মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে।
বিশ্বভারতীর প্রশাসন এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে নারাজ তারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেন কেউ গুজব না ছড়ায় এবং তদন্তের ওপর বিশ্বাস রাখে।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ এই ঘটনার নেপথ্য কারণ খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শোকাচ্ছন্ন, এবং শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রশাসনের সকলেই পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছে।