চলছে সাফাই। নিজস্ব চিত্র।
বর্ষার পরে ঝোপজঙ্গলে ভরে থাকায় পর্যটনকেন্দ্রে বাড়ছিল কীট-পতঙ্গ ও বিষধর সাপের উপদ্রব। বৃহস্পতিবার থেকে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরের পিকনিক স্পট ও অন্য জায়গাগুলিতে ঝোপ-জঙ্গল সাফ করা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, রঙিন আলোয় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে এলাকা। খুশি ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
পর্যটনকেন্দ্রে বেড়ে চলা ঝোপঝাড় নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল এলাকায়। মুকুটমণিপুর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিপুল সাহু বলেন, ‘‘অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে আলপনা দেওয়ায় রাস্তার পাশের ঝোপ থেকে হঠাৎ একটা কেউটে সাপ বেরিয়ে পড়ে। পর্যটকদের মধ্যে যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।’’ মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্যদের আহ্বায়ক তথা মহকুমাশাসক (খাতড়া) রবি রঞ্জন বলেন, ‘‘ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার করে পর্যটনকেন্দ্র রঙিন আলোয় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। বর্তমান করোনা-পরিস্থিতিতে পর্যটকদের সচেতনতার লক্ষ্যে একটি ম্যাস্কটও তৈরি হচ্ছে।’’
পর্যটনকেন্দ্রটি সাজিয়ে তোলার দায়িত্বে পেয়েছেন জঙ্গলমহলের সিমলাপাল ব্লকের পুখুরিয়া গ্রামের যুবক চন্দন রায়। শিল্পী জানান, আলপনাগুলিতে নতুন করে রং করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় রঙিন আলো বসছে। জিরো পয়েন্টে ঢোকার রাস্তায় মঙ্গল-প্রতীক হিসাবে তৈরি করা হবে প্রায় দশ ফুট উচ্চতার একটি পেঁচা। সেটির মুখে থাকবে মাস্ক। পর্যটকদের স্বাগত জানানোর সঙ্গে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ করোনা সচেতনতার বার্তা লেখা থাকবে।
মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্যদের ভাইস চেয়ারপার্সন তথা রানিবাঁধের তৃণমূল বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, ‘‘এই মরসুমে আরও বেশি পর্যটক টানার লক্ষ্যে পর্যটনকেন্দ্রটিকে সাজানোর কাজ চলছে।’’ পতিতপাবন সাহুর মতো স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকেই এই উদ্যোগে খুশি। তবে ব্যবসায়ীদের একাংশ পরিকাঠামো সংক্রান্ত নানা বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তাঁদের অভিযোগ, আলপনা দেওয়া রাস্তা উঁচু-নিচু হওয়ায় হামেশাই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রায়ই ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাচ্ছেন অনেক পর্যটক। তা ছাড়া, জল নিকাশি না থাকায় রাস্তায় জল জমে আলপনা ধুয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সমস্যাগুলির সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ।