বসন্তের বার্তা দিতে ফুটেছে পলাশ। নিজস্ব চিত্র
করোনার ধাক্কায় গত পিকনিক মরসুমে ব্যবসা মার খেয়েছে। দোল উৎসবে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে যাবে বলে আশা বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরের হোটেল ব্যবসায়ীদের। দোলের সময় হোটেল-লজগুলির সব ঘর ‘বুক’ হয়ে গিয়েছে বলে তাঁদের দাবি। ভাল ব্যবসার আশায় ব্যবসায়ী ও নৌকাচালকেরাও।
‘মুকুটমণিপুর হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি সুদীপ সাহু এবং সংগঠনের সদস্য তাপসকুমার মণ্ডল, সঞ্জীব দত্ত, উত্তম কুম্ভকার জানান, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৫টির মতো হোটেল ও লজ রয়েছে মুকুটমণিপুরে। পর পর করোনা-তরঙ্গের ধাক্কায় পর্যটন ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি ধীরে-ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। দোল উৎসব উপলক্ষে ১৭-২০ মার্চ সব ক’টি হোটেল ও লজের সব ঘরই ‘বুক’ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
মুকুটমণিপুর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিপুল সাহু বলেন, ‘‘নতুন বছরের শুরুতেই করোনার জেরে পর্যটনকেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়েছিল। পর্যটনের ভরা মরসুমে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। পরে, আস্তে আস্তে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে এলেও, শনি-রবি এবং ছুটির দিনে হাতেগোনা কিছু পর্যটক আসছেন মুকুটমণিপুরে। তেমন ভিড় এখনও হয়নি। দোলের সময় পর্যটকদের ভিড় বাড়লে ব্যবসা ভাল হবে।’’ মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদ নৌকাবিহার সমবায় সমিতির সম্পাদক তারাপদ সিংসর্দার বলেন, ‘‘আমাদের ৬৪টি যন্ত্রচালিত নৌকা রয়েছে। পর্যটন মরসুমের আগে অনেকেই ঋণ করে সেগুলি মেরামত করেছিলেন। পিকনিক স্পটগুলি বন্ধ থাকায় সকলেই সমস্যায় পড়েছেন। দোলে ছুটির দিনগুলির অপেক্ষায় রয়েছি। ওই সময় নাকি সব হোটেল-লজ কানায়-কানায় পূর্ণ থাকবে। ওই সময় ভিড় হলে দু’চার দিন ব্যবসা হবে।’’
মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারপার্সন তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি, তৃণমূলের মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, ‘‘শুনে ভাল লাগছে যে, সব হোটেল-লজ পর্যটকে ভর্তি থাকবে। তবে প্রত্যেকে যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন এবং দূরত্ব-বিধি মেনে চলেন, তা নিশ্চিত করতে হোটেল ও লজের মালিকদের অনুরোধ করব।’’