চেনেন এই গ্রাম কোথায়? নিজস্ব চিত্র।
ছোট্ট একটি গ্রাম। মেরেকেটে সেখানে ১০০টি মতো পরিবারের বাস। ছোট্ট এই গ্রাম যেন দু’টি রাজ্যের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করছে। গ্রামের এক প্রান্তে পা দিলে ঝাড়খণ্ড। অন্য প্রান্তে পশ্চিমবঙ্গ।
গ্রামের নাম মুক্তাপুর। জেলা পুরুলিয়া, ব্লক পুরুলিয়া-১। এই গ্রামেই পাশাপাশি বসবাস করেন ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার ১২ টি পরিবার। অন্য দিকে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু দেখে তো বোঝার কোনও উপায় নেই। কারণ কোথাও কোনও সীমানা নেই, নেই কোনও প্রাচীর। যা দিয়ে দুই রাজ্য আলাদা করা যাবে।
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, রাস্তার দু’ধারে বাড়িগুলির মধ্যে এক পাশে বাস করে পুরুলিয়া জেলার মানুষ। ঠিক অন্য দিকে ১২টি পরিবারের বাস। তাঁরা কিন্তু ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। গ্রামের শেষ প্রান্তে থাকা দু’টি ইলেকট্রিকের খুঁটির একটি ঝাড়খণ্ডের তো অন্যটি বাংলার। যদিও সেটা বাসিন্দারা কেউ বলে না দিলে বুঝে ওঠা মুশকিল।
মুক্তাপুর গ্রামের বাসিন্দা বীরবল মাহাতোর কথায়, ‘‘আমরা ১২টি পরিবার ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। আমাদের বাজার-হাট, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, হাসপাতাল— সবই আবার বাংলায়। শুধু মাত্র আইনি প্রক্রিয়া এবং জমি সংক্রান্ত কাজ করতে গেলে ঝাড়খণ্ডের বোকারোয় যেতে হয়। ভোটের সময়ও তাই। তখন সবাইকে ঝাড়খণ্ডে যেতে হয়।’’
তা কেমন আছে এই গ্রাম? বাসিন্দারা বলছেন সমস্যা অনেক। বীরবল বলেন, ‘‘আমরা বিদুৎ পরিষেবা পাই ঝাড়খণ্ডের। কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না।’’ ওই গ্রামেরই অথচ এ রাজ্যের বাসিন্দা আলাউদ্দিন আনসারির কথায়, ‘‘আমরা ভাল আছি। আমাদের বাড়ির সামনে স্কুল, কাছেই বাজার। বিদ্যুতেরও সমস্যা নেই।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।