আবার আন্দোলন বিশ্বভারতীতে। নিজস্ব ছবি।
আবার আন্দোলনে নামলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি ছাড়াও আরও বেশ কিছু দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে শুরু হয়েছে অবস্থান বিক্ষোভ। আশঙ্কা, এর জেরে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে।
সম্প্রতি একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে বিশ্বভারতী সেন্ট্রাল অফিসে উপাচার্যকে ঘেরাও করেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। অভিযোগ, আন্দোলন চলাকালীন বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের বচসা এবং হাতাহাতিও হয়। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঢিল ছোড়ারও অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়। ওই পড়ুয়াদের প্রত্যেককে চিঠি দিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগামী ১ বছরের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী পরিষদের বৈঠকে। তার পরেই ছুটি পড়ে যায় বিশ্বভারতীতে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় খুলতেই কর্তৃপক্ষের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সেন্ট্রাল ভবনের বাইরে বলাকা গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন একাংশ পড়ুয়া। তাঁদের এক জনের বক্তব্য, ‘‘মাঝের কয়েকটা দিন ছুটি ছিল। উৎসব ছিল। আজ বিশ্ববিদ্যালয় খোলায় আবার আন্দোলন শুরু হয়েছে। আমাদের যে সাত ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে। যে অধ্যাপককে বরখাস্ত করা হয়েছে, তাঁকেও চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। হস্টেলের জন্য ঠিকঠাক বরাদ্দ হচ্ছে না। রেজাল্ট পাবলিশ করা হচ্ছে না। যার জেরে স্কলারশিপের কাজ করা যাচ্ছে না। এ রকম বেশ কয়েকটা দাবি রয়েছে আমাদের। দাবি না মানলে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চলবে।’’