Money

তদন্ত কমিটি হতেই মিলে গেল হিসাব

হিসেব মিললেও গ্রাহকদের একাং‌শ ওই ঘটনা নিয়ে বিভ্রান্ত। তাঁদের প্রশ্ন, কী এমন জটিল হিসাব ছিল যে, ব্যাঙ্কের কর্মীরা তা মেলাতে পারলেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ০২:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের একটি শাখায় আট লক্ষ টাকার হিসাব না মেলায় গঠিত হয়েছিল তদন্ত কমিটি। সেই খবর প্রকাশ্যে আসায় উদ্বেগ ছড়িয়েছিল গ্রাহকদের মধ্যে। যদিও সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, কমিটির সদস্যেরা ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট শাখায় গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করার পরে মিলে যায় সব লেনদেনের হিসাব।

Advertisement

হিসেব মিললেও গ্রাহকদের একাং‌শ ওই ঘটনা নিয়ে বিভ্রান্ত। তাঁদের প্রশ্ন, কী এমন জটিল হিসাব ছিল যে, ব্যাঙ্কের কর্মীরা তা মেলাতে পারলেন না। তদন্ত কমিটি ময়দানে নামার পরে কী ভাবেই বা সব হিসাব মিলে গেল? গোটা বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চিফ এগজি়কিউটিভ অফিসারের (সিইও) থেকে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ঘটনাটি শুনেছি। সিইও-র থেকে রিপোর্ট চেয়েছি।’’

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের বলরামপুর শাখায় লেনদেন শেষে দেখা যায়, আট লক্ষ টাকার হিসাব মিলছে না। এর পরে ফের হিসাব খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু তাতেও ৮ লক্ষ টাকার হদিস না মেলায় বলরামপুর শাখার ‘শাখা প্রবন্ধক’ দেবদুলাল মিশ্র ঘটনাটি জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চিফ এগজি়কিউটিভ অফিসার (সিইও) নিজামউদ্দিন সিদ্দিকীকে জানান। তিনি ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটি বলরামপুর শাখায় গিয়ে তদন্ত করে। তদন্তে সব হিসেব মিলে যায় বলে দাবি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

দেবদুলালবাবু বলেন, ‘‘ভল্ট থেকে টাকা নিয়ে ক্যাশিয়ার ক্যাশ কাউন্টারে বসেন। প্রতিদিন লেনদেনের হিসাব করে টাকা মিলিয়ে দেখা হয়। সেটা দেখতে গিয়ে দেখা যায়, আট লক্ষ টাকার হিসাব মিলছে না। সেদিনই বিষয়টি সিইও-কে জানাই। এর বেশি কিছু বলব না।’’ নিজামউদ্দিন বলেন, ‘‘আট লক্ষ টাকার হিসেব মিলছিল না। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটিও গড়া হয়েছিল। সেই কমিটি সংশ্লিষ্ট শাখায় গিয়ে তদন্ত করেছে। পরে সেই টাকার হিসেব মিলেছে।’’

বলরামপুর শাখা কর্তৃপক্ষ কেন হিসাব মেলাতে পারলেন না? নিজামউদ্দিনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘সমস্ত লেনদেন খতিয়ে দেখা হয়েছে। হয়ত কাউকে বেশি টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। সমস্ত লেনদেন খতিয়ে দেখার পরেই হিসেব মিলে গিয়েছে।’’ কিন্তু হিসাব মিলল কী করে? সিইওর- বক্তব্য, ‘‘তদন্ত কমিটিই সেটা বার করেছে। এই রিপোর্ট সবে আমার কাছে এসেছে। তবে সেই রিপোর্ট নিয়ে কোনও মন্তব্য করা যাবে না।’’

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে ‘বিরক্তি’ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রঘুনাথপুরের তৃণমূল বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরিকে ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই থেকে ব্যাঙ্কের দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন জেলাশাসক।

পূর্ণচন্দ্রবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমি এখন ওই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত নেই। আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement