maan ki baat

মন ছুঁল কি ‘মন কি বাত’!

২০২২-র ২৯ মে ‘মন কি বাত’ সম্প্রচারে তাঁর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘‘দেশে অনেকেই নিজেদের ভাষা শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া, পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৩ ০৭:৪৬
Share:

রাজভবনে রাজ্যপালের হাত থেকে স্মারক নিচ্ছেন শ্রীপতি টুডু। নিজস্ব চিত্র

মাতৃভাষা সাঁওতালিতে দেশের সংবিধান অনুবাদ করেছেন পুরুলিয়া সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ভাষারই অধ্যাপক শ্রীপতি টুডু। তাঁর সৃষ্টি ছুঁয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন।

Advertisement

রবিবার ‘মন কি বাত’-এর শততম পর্বের সম্প্রচারের দিন শ্রীপতি টুডুকে সম্মানিত করল রাজভবন। এ দিন রাজভবনে তাঁকে উত্তরীয় এবং স্মারক দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অনুষ্ঠানের শততম পর্ব উপলক্ষে গত সপ্তাহে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ওই অধ্যাপককে। তিনি বলেন, ‘‘একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় যোগ দেবেন বলে ঠিক থাকলেও অন্য কাজে আটকে পড়ায় তিনি থাকতে পারেননি।’’ অধ্যাপকের কথায়, ‘‘এ দিন রাজভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। রাজ্যপালের সঙ্গে বসেই ওই অনুষ্ঠানের সম্প্রচার দেখলাম। অনুষ্ঠানের পরে উনি আমার হাতে স্মারক তুলে দেওয়ার পাশাপাশি, মধ্যাহ্ণভোজেও আপ্যায়িত করেছেন।’’ প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাজের কথা ‘মন কি বাত’-এ তুলে ধরায় আগামী জুলাইয়ে স্পেনে ভাষা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন শ্রীপতি। তিনি বলেন, ‘‘প্রান্তিক ভাষা নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের নিয়েই স্পেনে ওই সম্মেলন হবে। আমার মাতৃভাষার কথা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তুলে ধরার সুযোগ পাব। এই ভাষার প্রসারে যা অন্য এক দিগন্ত খুলে দেবে।’’

২০২২-র ২৯ মে ‘মন কি বাত’ সম্প্রচারে তাঁর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘‘দেশে অনেকেই নিজেদের ভাষা শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এমনই এক জন মানুষ শ্রীপতি টুডু। তিনি পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাঁওতালি ভাষার অধ্যাপক। তিনি সাঁওতাল সম্প্রদায়ের জন্য অলচিকি লিপিতে দেশের সংবিধান অনুবাদ করেছেন। আমাদের সংবিধান প্রতিটি নাগরিকের তাঁদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে। তাই প্রতিটি নাগরিকের এ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা প্রয়োজন। তিনি সাঁওতাল সমাজের জন্য তাঁদের নিজস্ব লিপিতে সংবিধানের অনুবাদ করে তা উপহার রূপে দিয়েছেন। আমি শ্রীপতিজির ভাবনা ও প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি।’’

Advertisement

এ দিন ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের সম্প্রচার শুনতে জেলায় হাজির ছিলেন দলের বহু কর্মী, দাবি বিজেপির জেলা নেতৃত্বের। দলের জেলা সভাপতি বিবেক রঙ্গা বলেন, ‘‘দলীয় নেতা-কর্মীরা যাতে সরাসরি এই অনুষ্ঠান শুনতে পান, দলের তরফে তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় অন্তত ২৫-৩০টি জায়গায় কর্মীদের একসঙ্গে বসিয়ে অনুষ্ঠান শোনানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ন’টি বিধানসভা এলাকা থেকে খবর এসেছে, ১০২৩টি জায়গায় বসে নেতাকর্মীরা এই অনুষ্ঠান শুনেছেন, যা আমাদের প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়েছে।’’ দলের জেলা দফতরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অনুষ্ঠান শোনেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ও জেলা সভাপতি।

বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলায় ১,৪০০ বুথে রেডিয়ো, টিভি, মোবাইলের মাধ্যমে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শোনানো হয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার ছিলেন খাতড়ার একটি বিদ্যালয়ে। বিজেপির বিধায়কেরাও নিজের এলাকায় ওই কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন। দলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘এ দিনের সম্প্রচার সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।” বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলাতেও অনেক বুথে ‘মন কি বাত’ সম্প্রচার করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement