Suri

মায়ের কোলে ফিরল সিউড়ির নিখোঁজ বালক, খোঁজ দিলেন এক মহিলা, স্বস্তির নিশ্বাস প্রশাসনের

মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ার পর বাড়ি থেকে চলে যায় বালক। বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিল সে। পুলিশ কুকুর, ড্রোন তার খোঁজ শুরু করে পুলিশ। অবশেষে একটি রাস্তাটিকে ছেলেটিকে পাওয়া যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২২ ১০:৩৮
Share:

মায়ের কোলে ফিরে। —নিজস্ব চিত্র।

অবশেষে উদ্ধার হল বীরভূমের সিউড়ির নিখোঁজ বালক নাজিমউদ্দিন। বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ওই শিশুকে খুঁজে এনে দিলেন এক মহিলা। পুলিশ সূত্রে খবর, সিউড়ি পাথরচাপুরি এলাকায় একাই ইতস্তত ভাবে ঘোরাঘুরি করছিল নাজিম। সেখানে এক মহিলা বাচ্চাটিকে দেখতে পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। নামধাম জানার পর শনিবার সকালে বাচ্চাটিকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেন ওই মহিলা। নাজিমউদ্দিন সুস্থ আছে বলে খবর। ছেলেকে পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন মা জুলেখা বিবি। হাঁফ ছেড়েছে পুলিশ প্রশাসন।

Advertisement

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ নাজিমউদ্দিন বাড়ি থেকে শৌচকর্মের জন্য বেরিয়েছিল। সেই সময় মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। এর পর থেকেই ছেলের দেখা মিলছে না বলে দাবি করেন নাজিমের মা। বৃহস্পতিবার বেলা পর্যন্ত খোঁজাখুজির পরে সিউড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় পরিবারের তরফে। এর পর সিউড়ি থানার পুলিশ বাড়ির আশপাশের এলাকায় খোঁজ চালায়। বৃহস্পতিবার রাতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দিয়ে আশপাশের পুকুর, ডোবায় তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু ওই বালককে পাওয়া যায়নি। এর পর আবার শুক্রবার সকাল থেকে সিউড়িতে ওই নাবালকের বাড়ির আশপাশের এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে তল্লাশি চালানো হয়। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিশ কুকুর দিয়েও তল্লাশি চলে। ড্রোন দিয়েও তল্লাশি চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর তিনটে নাগাদ ওই এলাকায় যায় পুলিশ কুকুর। পুলিশ কুকুর নাজিমউদ্দিনের জামাকাপড়ের গন্ধ নেওয়ার পরে তার বাড়ির পাশ হয়ে সিউড়ি স্টেশন চত্বরে যায়। যা দেখে পুলিশের অনুমান, মায়ের উপরে অভিমান করে স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে নাজিম কোথাও চলে গিয়ে থাকতে পারে।

নাজিমউদ্দিন জুলেখার প্রথম পক্ষের ছেলে। জুলেখার প্রথম পক্ষের স্বামী কাশিমউদ্দিন মণ্ডল নদিয়া জেলার পলাশির বাসিন্দা। বর্তমান স্বামী জসিমউদ্দিন মণ্ডলও পলাশির বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতেই জুলেখাকে নিয়ে পুলিশের একটি দল নদিয়া রওনা দেয়। সেখানে কাশিমউদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও নাজিমের খোঁজ মেলেনি। জুলেখা জানান, তাঁর বাড়ি মহম্মদবাজারের শেওড়াকুড়িতে। প্রায় বছর ১২ আগে কাশিমউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বছর পাঁচেক আগে জসিমউদ্দিনের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে তাঁরা সিউড়ির হাটজনবাজার এলাকার বস্তিতে চলে আসেন

Advertisement

জুলেখা এ-ও জানান, প্রথম পক্ষের তিনটি মেয়ে এবং চারটি ছেলে রয়েছে তাঁর। সব থেকে ছোট এই নাজিম। সে-ই একমাত্র তাঁর কাছে থাকত। বাকিরা থাকে প্রথম পক্ষের স্বামীর কাছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement