samajik suraksha yojana

যোজনায় গতি, দাবি শ্যামলের

গত বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের বিনামূল্যেই সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২১ ০০:৪৮
Share:

হস্তশিল্পের স্টল। নিজস্ব চিত্র।

জেলার অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় আনার কাজের গতি বেড়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। রবিবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে দু’দিনের শ্রমিক মেলার সূচনা করেন শ্যামলবাবু। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, সহকারী সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যাল প্রমুখ।

Advertisement

শ্রম দফতর সূত্রে খবর, ২০০১ সাল থেকে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প শুরু হয়। তখন ওই প্রকল্পের সুবিধা পেতে উপভোক্তাদের প্রতিমাসে ২৫ টাকা করে জমা দিতে হত। এই প্রকল্পে শ্রমিকেরা প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন-সহ নানা সুবিধা পেয়ে থাকে।

গত বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের বিনামূল্যেই সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তখন থেকেই প্রকল্পটির নাম হয় ‘বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’। দফতরের কর্তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর ওই উদ্যোগের পরে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্তির জন্য শ্রমিকদের অনেক বেশি সাড়া মিলছে।

Advertisement

বাঁকুড়ার উপ শ্রম মহাধ্যক্ষ তাপস দত্ত বলেন, “২০১৯-২০ অর্থবর্ষ জুড়ে ১ লক্ষ ১৪ হাজার শ্রমিক এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্তির আবেদন করেছিলেন। অর্থ মকুব হওয়ার পরে মাত্র পাঁচ মাসেই জেলায় বিভিন্ন অসংগঠিত ক্ষেত্রে ৭৪ হাজার শ্রমিক নতুন করে নাম নথিভুক্ত করেছেন।” তিনি জানান, সমাজের বিভিন্ন স্তরে এই প্রকল্পটির প্রচার চালানো হচ্ছে।

জেলা শ্রম দফতর সূত্রের খবর, বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পে জেলায় এখনও পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৮১ হাজার ২ জন শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৭৪ হাজার ৮২৩ জন শ্রমিক মোট ৪৫ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার সুবিধা পেয়েছেন। শ্যামলবাবু বলেন, “বাম আমলে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য প্রকল্প থাকলেও শ্রমিকেরা সেই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারতেন না। কাজের গতিও ঢিমে ছিল। পালাবদলের পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পের আওতায় আনার কাজে গতি বাড়ে।’’

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্রের কটাক্ষ, “সরকারি প্রকল্পে শ্রমিকদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কেবল রাজনৈতিক মেরুকরণ করছে তৃণমূল। বিরোধী দলের সঙ্গে যুক্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে না। রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে না পারলে প্রকৃত শ্রমিকদের হাতে এই সুবিধা পৌঁছবে না।”

অভিযোগ অস্বীকার করে শ্যামলবাবু বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থে তৃণমূল সরকার কোনও দিনই সরকারি প্রকল্পকে ব্যবহার করে না। ওটা সিপিএমের সংস্কৃতি ছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement