ধৃত গুরুদাস রায়। নিজস্ব চিত্র
প্রক্রিয়া ‘অনলাইন’ করেও আরটিও অফিসে দালালচক্র রোখা যাচ্ছে না। সোমবার বিষ্ণুপুরের আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর থেকে প্রায় ৫০টি ফর্ম ও আনুষঙ্গিক নথি-সহ গ্রেফতার করা হল এক জনকে। মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) মানস মণ্ডল অতগুলি ফর্ম এক জনের হাতে দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় গুরুদাস রায় নামে ওই ব্যক্তিকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। দফতরের একটি সূত্রের দাবি, মহকুমা দফতরে জেনারেটর চালানোর কাজ করতেন গুরুদাস। আগেই তাঁর কাজ চলে গিয়েছিল। তার পরে আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরে দিনের পর দিন তাঁর ‘অবাধ’ যাতায়াত দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ।
বিষ্ণুপুর আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরে ড্রাইভিং লাইসেন্স, লার্নার লাইসেন্স ইত্যাদির আবেদন অনলাইনেই হয়। তার জন্য আবেদনকারীর মোবাইলে ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ যায়। কিন্তু এত বজ্রআঁটুনির পরেও দালালচক্রের হাত থেকে যে নিস্তার মিলছে না, এ দিনের ঘটনাতেই তা স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করছেন অনেকে। গুরুদাস অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘আমার কোনও দোষ নেই। যাঁরা আসতে পারেন না, তাঁদের কাগজপত্র জমা করে দিতাম।” তবে মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘আমরা কিছুদিন ধরেই একটা দালালচক্রের হদিস পাচ্ছিলাম। প্রমাণ ছাড়া, ধরাও সম্ভব হচ্ছিল না। ওই ফর্ম ও নথি আবেদনকারীদের ব্যক্তিগত। বাইরের লোকের কাছে কী করে গেল, তা খতিয়ে দেখার।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘সিজ়ার লিস্ট হয়েছে। পুলিশ সেই অনুযায়ী তদন্ত করে যদি দেখে দুর্নীতির সঙ্গে আরও কেউ জড়িত, তা হলে সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।’’
আজ, মঙ্গলবার অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।