Mid Day Meal

স্কুলে বন্ধ মিল, অভুক্ত খুদেরা

প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের মধ্যে আলোচনায় স্থির হয়েছিল, বুধবার থেকে শুরু হবে মিড-ডে মিলের রান্না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:২৬
Share:

মিড ডে মিল নিয়ে জটিলতা কাটছে না। প্রতীকী চিত্র।

মিড-ডে মিল রান্না নিয়ে তৈরি জটিলতা কিছুতেই কাটছে না। ফলে মাঝেমধ্যেই অভুক্ত থাকতে হচ্ছে রঘুনাথপুর ১ ব্লকের গগড়া হাইস্কুলের পড়ুয়াদের। স্কুলের মিল রান্নার দায়িত্বে রয়েছে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। তাদের সরিয়ে রান্নার দায়িত্ব পেতে চায় অন্য একটি গোষ্ঠী।

Advertisement

প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের মধ্যে আলোচনায় স্থির হয়েছিল, বুধবার থেকে শুরু হবে মিড-ডে মিলের রান্না। কিন্তু নতুন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিরোধিতায় সে দিন রান্না হয়নি। শুক্রবার পুলিশের উপস্থিতিতে রান্না হয়েছে স্কুলে। কিন্তু নতুন গোষ্ঠীর সদস্যারা ব্লক কার্যালয়ে হাজির হয়ে এ দিন জানিয়েছেন, তাঁদের রান্নার দায়িত্ব দিতে হবে। তা না হলে তাঁরা প্রকল্প চালাতে দেবেন না।

এই প্রেক্ষিতে ফের আগামী বুধবার পর্যন্ত মিল রান্না বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সজল মণ্ডল বলেন, ‘‘স্কুলে এখনই মিড-ডে মিলের রান্না শুরু করতে গেলে বড় আকারের আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি হতে পারে। সে আশঙ্কায় ব্লক প্রশাসন বুধবার পর্যন্ত রান্না বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।”

Advertisement

বিডিও (রঘুনাথপুর ১) রবিশঙ্কর গুপ্ত বলেন, ‘‘শুক্রবার স্কুলে মিল রান্না হয়েছিল। কিন্তু একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ব্লক অফিসে এসে রান্নার দায়িত্ব তাদের দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তাদের বোঝানো হয়েছিল, নিয়ম অনুযায়ী নতুন কোনও গোষ্ঠীকে ওই দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তারা বোঝেনি। এই অবস্থায় রান্না করলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। পুলিশের কাছে রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

স্কুল সূত্রে খবর, মিল প্রকল্প নিয়ে বিবাদ শুরু হয় গত নভেম্বরে। মিল রান্নার দায়িত্ব দিতে হবে দাবি করে স্কুলে এসে উনুনে জল ঢেলে দেন নতুন গোষ্ঠীর সদস্যারা। সেই থেকে বন্ধ হয়ে রয়েছে প্রকল্প। বঞ্চিত হচ্ছে স্কুলের চারশোর বেশি পড়ুয়া।

স্কুল সূত্রে খবর, রান্নার দায়িত্বে থাকা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গুরুতর কোনও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব থেকে সরানো যায় না। রান্নার দায়িত্বে থাকা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। তাই তাদের সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এ সব শুনতে রাজি নন নতুন গোষ্ঠীর সদস্যারা। তাঁদের মধ্যে মমতা বাউড়ি বলেন, ‘‘আমাদেরও রান্নার দায়িত্ব দিতে হবে। তা না হলে এ বার গ্রামের প্রাথমিক স্কুলেও মিড-ডে মিলের রান্না বন্ধ করার কথা ভাবব আমরা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement