এ বার পুরুলিয়ায় মিলল‘মাওবাদী’ পোস্টার-ব্যানার

সিপিআই (মাওবাদী), সংগঠনের দশ বছর পূর্তি আজ, রবিবার। তার ঠিক আগের দিনই, শনিবার সকালে পুরুলিয়ার আড়শায় মিলল মাওবাদীদের ফুট চারেক লম্বা দলীয় ব্যানার। সঙ্গে বেশ কিছু পোস্টার এবং পুস্তিকা। বেলপাহাড়ির পর এ বার পুরুলিয়ায়। জঙ্গলমহলে ফের তাদের আনাগোনা শুরু হয়েছে বলে গোয়েন্দাদের কপালে বেশ কিছু দিন ধরেই ভাঁজ পড়ছিল। বেলপাহাড়ি এবং আড়শার ঘটনায় স্পষ্ট হল, সেই ভ্রূকুঞ্চন ভুল নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া ও মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৪৩
Share:

পুরুলিয়ার আড়শায় মাওবাদী পোস্টার। শনিবার।— নিজস্ব চিত্র

সিপিআই (মাওবাদী), সংগঠনের দশ বছর পূর্তি আজ, রবিবার। তার ঠিক আগের দিনই, শনিবার সকালে পুরুলিয়ার আড়শায় মিলল মাওবাদীদের ফুট চারেক লম্বা দলীয় ব্যানার। সঙ্গে বেশ কিছু পোস্টার এবং পুস্তিকা। বেলপাহাড়ির পর এ বার পুরুলিয়ায়।

Advertisement

জঙ্গলমহলে ফের তাদের আনাগোনা শুরু হয়েছে বলে গোয়েন্দাদের কপালে বেশ কিছু দিন ধরেই ভাঁজ পড়ছিল। বেলপাহাড়ি এবং আড়শার ঘটনায় স্পষ্ট হল, সেই ভ্রূকুঞ্চন ভুল নয়। তড়িঘড়ি শনিবারই তাই মাওবাদী-অধ্যুষিত চার জেলার পুলিশ কর্তাদের নিয়ে মেদিনীপুরে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। এ দিন দুপুরে মেদিনীপুর পুলিশ লাইনের ‘সেফ হাউস’-এ ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বীরভূম--চার জেলার পুলিশ সুপার, ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বিশাল গর্গ, ডিআইজি (পুরুলিয়া) অজয় নন্দ। ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তারাও।

বিকেলে, বৈঠক শেষে সিদ্ধিনাথ বলেন, “দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে পুলিশের কৌশল নিয়েই এ দিনের বৈঠক। খোঁজ চলেছে জঙ্গলমহলের লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের কোথায় মাওবাদীদের ডেরা রয়েছে তারও।” এই পরিস্থিতিতে মাওবাদী পোস্টার উদ্ধারের পরে পুলিশ যে কিঞ্চিৎ ‘উদ্বিগ্ন’ তা আড়াল করছেন না সিদ্ধিনাথ। সিদ্ধিনাথের মন্তব্য, “কিছু ব্যানার এবং পোস্টার মিলেছে। পুলিশ বিষয়টা একেবারেই হাল্কা ভাবে নিচ্ছে না।”

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়িতে শুক্রবারই পাওয়া গিয়েছিল মাওবাদীদের নতুন ব্যানার। তাতে, ‘পিপলস্ লিবারেশন গেরিলা আর্মি’ বা গণমুক্তি গেরিলা ফৌজকে ‘পিপলস্ লিবারেশন আর্মি’ বা গণমুক্তি ফৌজে পরিণত করার ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা। সেই নব্য ফৌজে ‘ভর্তি অভিযান’ অর্থাৎ সংগঠন বৃদ্ধির ডাক দেওয়া হয়েছিল ব্যনারগুলিতে। আড়শায় পাওয়া পোস্টার-ব্যানারে আরও এক ধাপ এগিয়ে জঙ্গলমহল জুড়ে ‘গ্রিন-হান্ট অপারেশন’-কে ‘ধ্বংস’ করা এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। শনিবার উদ্ধার হওয়া এই পোস্টারগু এবং ব্যানারগুলিতে ২১-৩০ সেপ্টেম্বর, মাওবাদীদের দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপনের আহ্বানও জানানো হয়েছে।

তবে, পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার ওই পোস্টারগুলি আদৌ মাওবাদীদের কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি এদিন বলেন, “আগেও এমন কিছু পোস্টার , ব্যানার উদ্ধার হয়েছিল। পরে দেখা যায় সেগুলি আদৌ মাওবাদী-পোস্টার নয়। এ বারও তাই এই উদ্ধার হওয়া পোস্টারগুলি খতিয়ে দেখতে হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement