ধরম সিংহ। নিজস্ব চিত্র।
লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপতি পাথর খাদানের কর্মী! তবে আক্ষরিক অর্থেই রাতের ঘুম গিয়েছে তাঁর। আতঙ্কে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন রামপুরহাটের বড়পাহাড়ি পাথর শিল্পাঞ্চলের দিনমজুর ধরম সিংহ।
বড়পাহাড়ি এলাকার একটি পাথর খাদানের শ্রমিকদের হাজিরা দেখভাল করে দিনে দুশো টাকা আয় করেন ধরম সিংহ। তাও আবার মাসে সব দিন কাজ হয় না। স্বল্প আয়ে দুই নাবালক ছেলে এবং স্ত্রীর সঙ্গে বড়পাহাড়িতেই শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন ধরম। খড়ের ছাউনির এক কামরার ঘর। সেই ঘরে থেকেই কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন ধরম। মাঝে মাঝেই লটারির টিকিট কাটতেন তিনি। বছর দুয়েক আগে একবারই বারোশো টাকা জিতেছিলে ধরম। তবুও কোটি টাকার স্বপ্ন দেখতে ছাড়েননি তিনি। সময় সুযোগ পেলেই কাউকে কিছু না বলে লটারির টিকিট কাটতেন তিনি।
মঙ্গলবারও তিনি দিনের বেলায় খাদানের কাজ সেরে ৩০ টাকার টিকিট কেটেছিলে। আর সেই টিকিটেই রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হয়ে যান ধরম সিংহ। তিনি জানান, স্বপ্ন সফল হলেও অজানা আতঙ্কে ভুগতে থাকেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘মঙ্গলবার রাতে মোবাইলে লটারির ফলাফল জানতেই ভাল করে ঘুমোতে পারিনি। বুধবার সকাল হতেই লটারির টিকিট নিয়ে রামপুরহাট থানায় হাজির হয়ে পুলিশের আশ্রয় নিই।’’
থানায় টিকিট জমা দিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের আশ্বাস মেলার পর দীর্ঘক্ষণ থানায় বসে থাকেন ধরম। ধরম বলেন, ‘‘কোটি টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম ঠিকই। কিন্তু বাস্তবে যখন সেটা মিলে গেল তখন ভয় লাগতে লাগল।’’ তাঁর আশা, টাকা পেলে নিজের ভাঙা ঘর ছেড়ে বড়পাহাড়িতে একটি ভাল ঘর করে সেখানে একটা ছোটোখাটো ব্যবসা করে নাবালক ছেলে দুটিকে ভাল করে লেখাপড়া শেখাতে পারবেন। পুলিশ জানায়, ওই যুবকের নিরাপত্তার ব্যপারে পুলিশের নজরদারি থাকবে।