অভিযুক্ত শ্যালক বিশাল। নিজস্ব চিত্র।
দিদিকে ডিভোর্স দিতে রাজি না হওয়ায় ঘুমিয়ে থাকা জামাইবাবুকে তরোয়ালের কোপ মেরে খুন করলেন শ্যালক। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের নিশ্চিন্তপুর এলাকায়। অভিযুক্ত শ্যালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূ্ত্রে খবর, বীরভূমের মল্লারপুরের বাসিন্দা কৃষ্ণ কর্মকারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রামপুরহাটের শ্রীফলা এলাকার বাসিন্দা বিশাল মালের বোনের। তাঁদের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। শুক্রবার রাতে নিশ্চিন্তপুরে নিজের মাসির বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন কৃষ্ণ। সেই সময় বিশাল তাঁর সঙ্গে ৫-৭ জন বন্ধুকে নিয়ে এসে জামাইবাবু কৃষ্ণের উপর চড়াও হন। বচসার সময়ই কৃষ্ণের গলায় তরোয়ালের কোপ মারেন বিশাল। এই ঘটনার পর চিৎকার করতে থাকেন কৃষ্ণের মাসি। তাঁর চিৎকার শুনে বাড়িতে এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তাঁরা হাতেনাতে বিশালকে পাকড়াও করে ফেলেন। প্রতিবেশীরা সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এলাকাবাসীরা বিশালকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
কৃষ্ণের মাসির অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশালের পরিবার তাদের মেয়েকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছিল। কিন্তু কৃষ্ণ তাঁর ছেলের মুখ চেয়ে কিছুতেই ডিভোর্স দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। এর আগেও বেশ কয়েকবার বিশাল ও কৃষ্ণের মধ্যে বচসা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে তা চরম আকার ধারণ করে। তারপরই বিশাল কৃষ্ণর গলায় কোপ বসান। ঘাতক বিশাল মালকে গ্রেফতার করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।