ধৃত প্রবীর। —নিজস্ব চিত্র।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক শবর যুবতীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠল তাঁরই প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, গর্ভবতী হয়ে পড়া ওই যুবতীকে জোর করে গর্ভপাত করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রবীর মাহাতো নামের অভিযুক্ত ওই যুবককে শনিবার গ্রেফতার করল বান্দোয়ান থানার পুলিশ। ধৃতের বাড়ি বান্দোয়ানের পারগোড়া গ্রামে। ধৃতকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, পারগোড়ায় বছর তেইশের এক যুবতীর সঙ্গে প্রবীরের ৯ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পুলিশের কাছে করা অভিযোগে যুবতী জানিয়েছেন, প্রবীর তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সহবাসও করতেন তাঁরা। কিন্তু কিছু দিন আগে গর্ভবতী হয়ে পড়েন তিনি। এর পর বিয়ে করতে বেঁকে বসেন প্রবীর। তাঁর আরও অভিযোগ, কয়েক দিন আগে ওই যুবতীকে এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে জোর করে গর্ভপাতের জন্য ইঞ্জেকশন ও ওষুধপত্র খাওয়ানো হয়। এর প্রভাবে দু’দিন আগে তিনি অসম্পূর্ণ মৃত এক সন্তানের জন্ম দেন। এর পরেই শুক্রবার রাতে ওই যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও জোর করে গর্ভপাতের বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান যুবতী। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ওই যুবতীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার ওই যুবতী আদালতে গোপন জমানবন্দিও দেন বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে।