Fraud

দামি বাইক-গাড়ি, চর্চায় ছিলেন শুভ্রায়ন

শুভ্রায়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একটি সংস্থা খুলে শেয়ার বাজারে লগ্নির নাম করে শহরের শতাধিক বাসিন্দাকে অল্প দিনে মোটা টাকা পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪০
Share:

শুভ্রায়নকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।

আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো তাঁর বেড়ে ওঠা। কিন্তু, গত বছর মার্চ-এপ্রিল নাগাদ থেকে জীবনযাপনে আসে আমূল পরিবর্তন। গলায় সোনার চেন, নামী কোম্পানির একাধিক মোটরবাইক, দু’টি বিলাসবহুল গাড়ি, দামি স্মার্টফোন ব্যবহার করতে শুরু করেন। শুভ্রায়ন শীলের জীবনযাত্রায় এই ‘বদল’ ঘিরে তখন থেকে চর্চা ছিল পাড়ায়। কয়েক কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে ওই যুবককে শুক্রবার পুলিশ গ্রেফতার করার পরে সেই চর্চা আরও বেড়েছে।

Advertisement

শুভ্রায়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একটি সংস্থা খুলে শেয়ার বাজারে লগ্নির নাম করে শহরের শতাধিক বাসিন্দাকে অল্প দিনে মোটা টাকা পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়েছিলেন। সেই টোপে পড়ে বহু মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু, টাকা ফেরত দিতে পারেননি। ‘প্রতারিতদের’ অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। শুভ্রায়নকে শনিবার বোলপুর আদালতে তোলা হয়। অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী উদয় গড়াই জানান, বিচারক অভিযুক্তকে আট দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন শুভ্রায়ন।

শুভ্রায়নের বোলপুর শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের শুড়িপাড়া এলাকায়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, প্রথম দিকে তাঁর প্রতি মানুষের ভরসা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে দুর্গাপুজোর বিজ্ঞাপনকে হাতিয়ার করেছিলেন ওই যুবক। তাঁর সংস্থার নামে শহর জুড়ে বিভিন্ন ফ্লেক্স, তোরণ বানিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে থাকেন। এই ভাবে বিভিন্ন মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে শহর থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা শুভ্রায়ন নিজের সংস্থার নামে তোলে বলে অভিযোগ। প্রাপকদের অভিযোগ, সেই টাকাতেই সোনার চেন, সোনার ফ্রেম বাঁধানো চশমা, মোটরবাইক, গাড়ি, আইফোন কিনেছিলেন ওই যুবক।

Advertisement

শুরুর দিকে সময়ে টাকা ফেরত দিলেও কিছুদিন পর থেকেই প্রাপকদের টাকা বাকি পড়তে থাকে। শুক্রবার তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় করে টাকা ফেরতের দাবি তোলেন অনেকে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তৌসিফউদ্দিন নামে এক প্রাপকের দাবি, “অল্প দিনে বেশি টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল ওই যুবক। আমার মতো অনেকেরই অনেক টাকা ঢুকে আছে। ঘটনার তদন্ত করে আমাদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।’’ শুভ্রায়নের পরিবারের লোকজন এই অভিযোগ সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি। ওই যুবক একাই এই কাজ করেছেন, না এর পিছনে আরও কেউ আছেন, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement