বিয়ের এক বছরের মধ্যে মৃত্যু মহিলার। —প্রতীকী চিত্র।
বিয়ে হওয়ার পর বছরও ঘোরেনি। মঙ্গলবার অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হল বধূর। মঙ্গলবার খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন স্বামী এবং শাশুড়ি। পুরুলিয়া সাতুড়ি থানার ঘটনা।
বিয়ের সময় যৌতুকে দেওয়া গয়না পছন্দ হয়নি। তাই তাঁদের মেয়েকে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ বাবার। পণের জন্য মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছরের মার্চে পুরুলিয়া শহরের নডিহা এলাকার বাসিন্দা ধীরেন মোদকের ছোট মেয়ে মালার বিয়ে হয় সাতুড়ি থানা এলাকার বাঁকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা লাল্টু মোদকের সঙ্গে। বিয়ের সময় মেয়ে ও তাঁর শ্বশুরবাড়িকে নগদ এক লক্ষ টাকা ছাড়াও সোনার চুড়ি, কানের দুল, গলার হার এবং নানা আসবাবপত্র যৌতুক দিয়েছিলেন ধীরেন। কিন্তু গয়না নাকি মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের পছন্দ হয়নি। এ নিয়ে বিয়ের পর পরই ঝামেলা হয়, মেয়েকে কথা শোনানো হয়। ধীরেনের দাবি, অষ্টমঙ্গলার সময় মেয়ে তাঁদের কাছে এসে এই কথা জানান।
ধীরেনের অভিযোগ, কিছু দিন পর আরও ২ লক্ষ টাকা দাবি করে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি। সেই টাকা দিতে না পারায় মালাকে নির্যাতন করতেন তাঁর স্বামী এবং শাশুড়ি। মাঝেমধ্যে সে কথা এসে বাবা-মাকে জানাতেন মালা। এর পর ধীরেন রবিবার জানতে পারেন যে, তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছেন। তড়িঘড়ি মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যান ধীরেন। তাঁকে বলা হয়, স্থানীয় মুরাডি হাসপাতালে দেহ আছে। ধীরেনের দাবি, হাসপাতালে গিয়ে মৃত মেয়ের মুখে এবং কানে আঘাতের চিহ্ন দেখেন তিনি।
মেয়েকে খুনের অভিযোগে জামাই এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কন্যাহারা বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ লাল্টু দে এবং তাঁর মা কুড়ানি দে-কে গ্রেফতার করেছে।