—প্রতীকী চিত্র।
বধূকে পরিত্যক্ত গোয়াল ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। মহিলার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগেই বাড়িতে আসেন অভিযুক্ত। ঘটনার পর আতঙ্কে চার দিন কাউকে কিছু জানাননি মহিলা। পরে স্বামীর কাছে সব কথা খুলে বলেন। তাঁর সঙ্গেই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি বোলপুর থানা এলাকার করিমপুর গ্রামের। বুধবার বোলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি স্থানীয় তৃণমূল সমর্থক বলে অভিযোগ। তবে ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার এই ঘটনা ঘটে। ওই দিন দুপুরে বাড়িতে একা ছিলেন মহিলা। তাঁকে দীর্ঘ দিন ধরেই উত্যক্ত করতেন অভিযুক্ত। বার বার প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তাতে রাজি হননি। মহিলার অভিযোগ, টাকাপয়সার লোভও দেখানো হত তাঁকে। শনিবার বাড়িতে একা পেয়ে তাঁর উপর চড়াও হন অভিযুক্ত।
মহিলা বলেছেন, ‘‘আমাকে অনেক দিন ধরেই ও বিরক্ত করত। টাকাপয়সার লোভ দেখাত। পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখাত। আমি সে দিন জল আনতে গিয়েছিলাম। একা পেয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। আমার চার বছরের ছেলে সেখানে চলে এসেছিল। ওকেও মারার চেষ্টা করে। পরে আমি চিৎকার করায় পালিয়ে যায়।’’ অভিযুক্ত তৃণমূল করে বলেও জানান মহিলা। কেন চার দিন চুপ করে ছিলেন? মহিলা বলেন, ‘‘স্বামীর ভয়ে আমি বলতে পারিনি। ও বাইরে গিয়েছিল। আমি আমার সম্মান বাঁচাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে ওকে সব বলে দিই।’’
মহিলার স্বামী বলেন, ‘‘আমি চাষের কাজ করি। সে দিন বাড়িতে ছিলাম না। একটা কাজে গিয়েছিলাম। অনেক দিন ধরেই ও আমার স্ত্রীকে উত্যক্ত করত। টাকাপয়সার লোভ দেখাত। আমার স্ত্রী ভয়ে আমাকে বলত না। আমার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে স্ত্রীকে ও ধর্ষণ করেছে।’’
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র জামশেদ আলি খান বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। কেউ যদি এমন কাজ করে থাকে, প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’’