—প্রতীকী চিত্র।
বৃদ্ধা মা এবং দাদাকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন ওই পরিবারের আরও তিন মহিলা। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার খাতড়া থানার জলডোবরা গ্রামে। খবর পেয়ে রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা খবর, বাঁকুড়ার খাতড়া থানার জলডোবরা গ্রামে অভিযুক্ত গোপী বাউরির বাড়ি। ওই বাড়িতে বেশ কিছু দিন ধরেই পারিবারিক বিবাদ চলছিল। দাদা দেবু বাউরির সঙ্গে গোপীর ঝগড়া হয় সোমবার রাতে। অভিযোগ, দুই ভাইয়ের ওই ঝামেলার সময় বাড়ির এক দিকে পড়ে থাকা শাবল তুলে নিয়ে আসেন গোপী। সেটা দিয়ে মায়ের মাথায় বাড়ি মারেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ৬০ বছর বয়সি লক্ষ্মী। মাকে বাঁচাতে যান দেবু। অভিযোগ, তখন দাদাকেও শাবল দিয়ে আঘাত করেন গোপী। মা-ছেলে দু’জনে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। অন্য দিকে, ‘মারমুখী’ গোপীকে আটকাতে গিয়ে আহত হন তাঁর দেবুর স্ত্রী মঙ্গলা বাউরি, মেয়ে শিখা বাউরি এবং বোন ক্ষেপি বাউরি। তাঁদের চিৎকার এবং আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে ছুটে যান। ওই কাণ্ড দেখে খাতড়া থানায় খবর দেন তাঁরা।
এর পরে পুলিশ গ্রামে গিয়ে দেবু এবং লক্ষ্মীর দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি, আহত অপর তিন জনকে উদ্ধার করে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ দুটি মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হচ্ছে। রাতেই গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে দেবু বাউরি এবং গোপী বাউরির মধ্যে পারিবারিক সমস্যা ছিল। গতকাল রাতে অভিযুক্ত গোপী তাঁর মা লক্ষ্মী বাউরির কাছে টাকা চান। মা সেই টাকা না দেওয়ায় প্রথমে মাকে খুন করেন। দাদা বাধা দিতে গেলে তাঁকেও খুন করেন গোপী। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’