পুরুলিয়ায় প্রচার। নিজস্ব চিত্র
সম্প্রতি বাঁকুড়া সফরে এসে খাতড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন। আজ, মঙ্গলবার থেকে ওই কর্মসূচিতে বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন মাঠে নামতে চলেছে। সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবা নিয়ে অভাব-অভিযোগ শোনা এবং না-পাওয়া পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি বলে জানানো হয়েছে। রবিবার পুরুলিয়ায় ও সোমবার বাঁকুড়ায় প্রস্তুতিবৈঠক হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মসূচি চলবে ১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত, চার দফায়। প্রথম দফার কাজ হবে ১ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফায় ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তৃতীয় দফায় ২ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। চতুর্থ দফায় কর্মসূচি পুরুলিয়ায় চলবে ১৮ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। বাঁকুড়ায় ১৮ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিটি পঞ্চায়েত এবং শহরের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ওয়ার্ডে মোট চার বার করে শিবির হবে।
বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ বলেন, “জেলার প্রতিটি শহরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ও প্রতিটি পঞ্চায়েত অফিসে শিবির করে সরকারি দফতরের আধিকারিকেরা বসবেন। সাধারণ মানুষ সরাসরি তাঁদের সমস্যার কথা ওই শিবিরে গিয়ে জানাবেন।” তিনি জানান, শিবির শুরু হবে সকাল ১০টা থেকে। ১১টি সরকারি দফতরের কর্মী ও আধিকারিকেরা থাকবেন।
পুরুলিয়ার জেলাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মোট ১২টি প্রকল্পের জন্য আলাদা আলাদা কাউন্টার থাকবে। পাশাপাশি, ‘বিবিধ’ নামের আরও একটি কাউন্টার থাকছে। সেখানে অন্য কোনও প্রশ্ন থাকলে যাওয়া যাবে।’’ ইতিমধ্যে লোকশিল্পীদের নিয়ে এই কর্মসূচির প্রচারও শুরু করেছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। জানানো হয়েছে, শিবির শুরু হবে বেলা ১১টা থেকে।
গত লোকসভা ভোটের পরে, পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন ‘গো টু ভিলেজ’ নামে একটি কর্মসূচি শুরু করেছিল। প্রতি ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের জন্য নোডাল অফিসারও নিয়োগ করা হয়। গোড়ায় অনুন্নত গ্রামের জন্য শুরু হলেও পরে সমস্ত গ্রামকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছিল। দায়িত্বে থাকা নোডাল অফিসারেরা এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিচ্ছিলেন, মানুষজন ঠিকমতো পরিষেবা পাচ্ছেন কি না।