সিউড়ির মালিপাড়ায় বিক্রি হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া রাখি। —নিজস্ব চিত্র।
রাখিবন্ধনেও ‘টক্কর’ মোদী এবং দিদির। নরেন্দ্র মোদীর ছবি দেওয়া রাখি যেমন রয়েছে, আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সংবলিত রাখি। বাজার মাত করল কোন রাখি?
রাখি পূর্ণিমার আগের দিন সিউড়ি শহরের রাখি বিক্রেতারা জানালেন, মমতা ও মোদী, দু’ধরনের রাখিরই চাহিদা খুব ভাল। এমনকি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবি দেওয়া রাখিও অল্প সংখ্যায় আনা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং আদিত্যনাথের ছবি দেওয়া বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তবে, মমতা-রাখি তুলনায় বেশি সংখ্যায় বরাত দেওয়া হয়েছিল। সেগুলিও প্রায় শেষের মুখে।
অতিমারির ধাক্কায় ২০২০ ও ’২১-এ রাখির ব্যবসা তেমন জমেনি। গত বছর অবশ্য ভালই ব্যবসা হয়েছিল। এ বছরও জেলা সদরে রাখির বিক্রি বেশ ভালই। এই উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন রাস্তার ধারে ধারেই অস্থায়ী দোকান তৈরি করে রংবেরঙের রাখির পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। সেখানে ক্রেতাদের ভিড়ও বেশ চোখে পড়ার মতো। এর পাশাপাশি শহরের প্রতিষ্ঠিত দোকানগুলি তো আছেই।
মঙ্গলবার তেমনই একটি দোকানে গিয়ে দেখা গেল, সাজানো রয়েছে মমতা-রাখি। রাখির মাঝখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতজোড় করা ছবি। ২০ টাকা দামে বিকোচ্ছে সেই রাখি। দলের নেতা-কর্মীরা সেই রাখি কিনছেন। সাধারণ মানুষের একাংশও অন্য রাখি ছেড়ে ওই বিশেষ রাখির দিকেই ঝুঁকছেন। সিউড়ির একটি রাখির দোকানের মালিক অশোক মালাকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী সহ অনেকের ছবি দেওয়া রাখিই বিক্রি করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ছবি দেওয়া প্রায় পাঁচশো রাখি বিক্রি করেছি। গত বছর থেকেই আমরা এই রাখি বিক্রি শুরু করেছিলাম। সে বারের চাহিদা দেখে এ বছরও এনেছিলাম। আশানুরূপ বিক্রি হয়েছে।”
এ দিন দোকান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া বেশ কয়েকটি রাখি কেনেন সুজয় দাস। তিনি বলেন, “আমাদের ক্লাবের সদস্যেরা সকলেই তৃণমূলের সমর্থক। তাই বুধবার এই রাখি বেঁধেই আমরা দিনটি পালন করব।” বিজেপি ও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড, মসজিদ মোড়, বেণীমাধব মোড় সহ একাধিক স্থানে পথচলতি মানুষদের হাতে রাখি পরানোর যে কর্মসূচি দলীয় স্তরে নেওয়া হয়েছে, সেখানে মমতা-মোদীর ছবি দেওয়া রাখিও ব্যবহার করা হবে।