মানবাজারের ব্যাঙ্কমোড় থেকে পোস্টঅফিস মোড়ের পথে। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় যানজটে নাকাল হতে হল বহু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের। মঙ্গলবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। মানবাজার থেকে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া-সহ অন্য জেলার সংযোগকারী মূল রাস্তার উপরে চৌমাথা, ব্যাঙ্ক মোড় ও পোস্ট অফিস মোড়ে এ দিন সকালে তীব্র যানজট ছিল। সকাল ১০টা থেকেই তিনটি মোড় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে রাস্তা পরিষ্কার করে দিলেও বেশ কিছুক্ষণ রাস্তায় আটকে থাকতে হয় পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের।
যানজটে ফেঁসেছিলেন মানবাজারের ইন্দকুড়ির বাসিন্দা রামকৃষ্ণ নন্দী। তাঁর ভাইঝি এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। রামকৃষ্ণবাবু বলেন, ‘‘পরীক্ষাকেন্দ্রে আগে পৌছব বলে হাতে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে বেরিয়েছিলাম। যানজটে আটকে পড়ি।’’ মোটরবাইকে চাপিয়ে ছেলেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিতে যাওয়ার পথে রাস্তায় যানজটে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকেন বামনি গ্রামের অমৃত মাহাতো। বলেন, ‘‘অনেকক্ষণ ধরে ভিড়ে আটকে আছি। এক পা এক পা করে গাড়ি এগোচ্ছে।’’
যানজটে ফেঁসে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের একাংশ পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ফোনে সমস্যার কথা জানান। এসডিও (মানবাজার) বিষ্ণুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যানজটের খবর পেয়েছি। যান নিয়ন্ত্রণে ওসি নিজেই রাস্তায় নেমেছেন।’’ পুলিশের দাবি, কিছুক্ষণের জন্য রাস্তায় যানজট হলেও সমস্ত পরীক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেছিল। কারও কোনও সমস্যা হয়নি।
সিভিক কর্মীদের পাশাপাশি, স্থানীয় কয়েকজন যুবককেও যান নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় এ দিন। স্থানীয় যুবক ছোটন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাস্তার উপরে অনেকেই বাইক এবং গাড়ি রেখে দেন। এতেই সমস্যা বেড়েছে।’’ রাস্তায় বাস চলাচল করায় যানজট বেশি হয় মানবাজারের চৌমাথা, ব্যাঙ্ক মোড় ও পোস্টঅফিস মোড়ে। ওই তিন এলাকা শহরের সবথেকে বেশি যানজট প্রবণ বলে চিহ্নিত। শালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দেবীপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওষুধ আনতে ইন্দকুড়ি যাচ্ছিলাম। চৌমাথায় এসে আটকে পড়ি। হেঁটে রাস্তা পার হওয়া যায় না। এক কিলোমিটার পথ পেরতে আধ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গেল।’’
এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ওই রাস্তা দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ রাকা উচিত প্রশাসনের। যানজট ক্রমশ বাড়তে থাকায় বেলার দিকে পুলিশ সব বাস বাইপাস দিয়ে ঘুরিয়ে দেয়।