পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে শেষ বার বইয়ে চোখ, দুবরাজপুরে। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত
টোকাটুকি, নকল রুখতে সুরক্ষা বাড়ানো হয়েছে। পরীক্ষা হলে পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন, স্মার্টঘড়ি সহ বৈদ্যুতিন গ্যাজেট ও বইয়ের ব্যাগ রাখাও নিষিদ্ধ। এত সবের মাঝেও মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলার প্রশ্নপত্র মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বাইরে বেরিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ করলেন অভিভাবকদের অনেকেই। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৪০ মিনিট আগে রামপুরহাট এলাকায় অনেকের মোবাইলে ওই প্রশ্নপত্র ঘুরতে দেখা যায়।
গত বছরও এ ভাবেই প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাইরে চলে এসেছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে রাজ্যে যে সব জেলা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গত বছর প্রশ্নপত্র বাইরে চলে এসেছিল, সেই সমস্ত জায়গা নিয়ে মোট ৪৩টি ব্লকে নেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বীরভূম জেলার নলহাটি ১ ও নলহাটি ২ এবং ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকে ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ থাকার কথা ছিল। কিন্তু, কার্যক্ষেত্রে নেট বন্ধ থাকেনি।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সোমবার রাতে সিদ্ধান্ত হয় ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে না। তবে জেলা পুলিশ সূত্রের দাবি, রামপুরহাট মহকুমা এলাকা বা বীরভূম জেলা থেকে প্রশ্নপত্র বাইরে আসেনি। মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলা কনভেনর সন্দীপ মিশ্রও দাবি করেন, ‘‘বীরভূমে এই ধরণের কোনও কাণ্ড ঘটেনি।’’
পরীক্ষার প্রথম দিনে দু’জন অসুস্থ পরীক্ষার্থীকে সরকারি হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। জেলায় এ বারে ২৩ জন রাইটার নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাদের মধ্যে বোলপুর মহকুমায় ৫ জন, সিউড়ি মহকুমা ১০ জন, রামপুরহাট মহকুমায় ৮ জন পরীক্ষার্থী আছে। মাধ্যমিকের জেলা কনভেনর সন্দীপ মিশ্রের কথায়, ‘‘জেলাতে প্রথম দিন নির্বিঘ্নেই পরীক্ষা হয়েছে।’’