পুরুলিয়া পলিটেকনিক কলেজের ভোট গণনা কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র
স্ট্রংরুমে ইভিএম সুরক্ষিত রয়েছে কি না, ‘মনিটরে’ চোখ রেখে তা পরখ করতে পারেন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। গণনা সংক্রান্ত নানা খুঁটিনাটি বিষয়ের সঙ্গে এ কথাও সোমবার তাঁদের জানিয়ে দিল প্রশাসন।
এ দিন বিকেলে গণনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনিক ভবনে ওই বৈঠকে প্রার্থী বা তাঁদের প্রতিনিধিদের সমস্ত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কারা কাউন্টিং এজেন্ট হতে পারবেন, কারা পারবেন না, এ দিন তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি গণনা কেন্দ্রে প্রার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে যাঁরা হাজির থাকবেন, তাঁদের নথিপত্র জমা পড়েছে কি না, তা-ও প্রশাসনের তরফে জানতে চাওয়া হয়। এখনও সেই নথি জমা না পড়লে, দ্রুত তা জমা দিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে হাজির ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী বীরসিংহ মাহাতো বলেন, ‘‘গণনার যে পদ্ধতি শুনলাম, তাতে ভোট গোনা শেষ হতে মাঝরাত হয়ে যেতে পারে। কাউন্টিং এজেন্টরা তো খাবার দাবার নিয়ে সমস্যায় পড়বেন।’’ তৃণমূলের প্রতিনিধি মাণিকমণি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রথমে ইভিএম এবং তার পরে ভিভিপ্যাট স্লিপ সব গোনা শেষ হতে মাঝরাত হয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছে। কাউন্টিং এজেন্টদের খাবারের ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। জেলা প্রশাসন আমাদের চার জনের নাম জমা দিতে বলেছে। তাঁদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। কেবলমাত্র তাঁরাই গণনাকেন্দ্রে থাকা কাউন্টিং এজেন্টদের জন্য খাবার নিয়ে যেতে পারবেন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার ট্যুইট করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ইভিএম বদলে যেতে পারে। এ দিনের বৈঠকে জেলাশাসক প্রার্থী ও তাঁদের প্রতিনিধিদের জানিয়ে দেন, তাঁরা ইচ্ছা করলে গণনা কেন্দ্রের ভিতরের ছবি দেখে আসতে পারেন। বাইরে মনিটর লাগানো রয়েছে।
কংগ্রেসের প্রতিনিধি উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি প্রতিনিধি ভগবতীপ্রসাদ সিংহ দেও জানান, গননা কেন্দ্রে যে সিসিটিভি লাগানো রয়েছে, তা জেলাশসাক আমাদের জানিয়েছেন। উত্তমবাবুর কথায়, ‘‘সিসিটিভির মনিটর বাইরে লাগানো রয়েছে। প্রয়োজনে আমরা তা দেখে আসতে পারি। সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।’’ মাণিকমণি বলেন, ‘‘জেলাশাসক জানিয়েছেন, ভিতরের সমস্ত ছবি মনিটরে দেখা যাচ্ছে। প্রয়োজনে আমরা তা দেখতে পারি।’’
জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, ‘‘দুটি গণনাকেন্দ্র থাকছে। একটি পুরুলিয়া পলিটেকনিক। অন্যটি ডিস্ট্রিক্ট ইন্সস্টিটিউট ফর এডুকেশন এন্ড ট্রেনিং। দু’টি গণনা কেন্দ্রের ভিতরেই সিসিটিভি রয়েছে। বাইরে মনিটর রয়েছে। মনিটর থেকে দেখা যেতে পারে, ভিতরে কী ভাবে স্ট্রংরুম কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা পাহারা দিচ্ছেন। বিদ্যুৎ চলে গেলেও সমস্যা হবে না। সিসিটিভিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত থাকবে, এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রশাসনিক প্রতিনিধিরাও কোন কাজে সেখানে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবিও তুলে রাখছেন।’’ তিনি জানান, এ দিনের বৈঠকে গণনা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় প্রার্থীদের অথবা তাঁদের প্রতিনিধিদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।