রবিবারে চড়ল প্রচারের পারদ

সকালে বাঁকুড়া ১ ও বাঁকুড়া ২ ব্লকে কর্মিসভা করেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর হাতিয়ার জল পরিষেবা। তা তুলে ধরেই কর্মীদের বলেন, ‘‘চৌত্রিশ বছরে এ রাজ্যে বামফ্রন্ট মানুষকে জল দিতে পারেনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৪৫
Share:

বাঁকুড়ার চকবাজার আনাজপট্টিতে প্রচারে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার।

বাড়ির বাইরে পা দিলেই, রোদের তেজে চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে। গরম বাতাসে যেন গায়ে ফোস্কা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু, ভোট বড় বালাই। তার উপরে রবিবার। তাই ভোটারদের কাছে যেতে এ দিন আরও বেশি করে প্রচারে ঘুরলেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা।

Advertisement

সকালে বাঁকুড়া ১ ও বাঁকুড়া ২ ব্লকে কর্মিসভা করেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর হাতিয়ার জল পরিষেবা। তা তুলে ধরেই কর্মীদের বলেন, ‘‘চৌত্রিশ বছরে এ রাজ্যে বামফ্রন্ট মানুষকে জল দিতে পারেনি। আর বিজেপি ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করাকে প্রাধান্য দেয়। আমরা কাজ করি। জল দিয়ে ভোট চাইতে এসেছি।’’ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার সকালে বাঁকুড়ার চকবাজারে, দুপুরে রাইপুরে, আর বিকালে যান সিমলাপালের বিক্রমপুরে।

তিনি দাবি করেন, ‘‘ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নোটবন্দিতে সমস্যা হয়নি, বরং দুর্নীতিগ্রস্তেরা বিপাকে পড়েন।” এ দিন ছাতনায় যান সিপিএম প্রার্থী অমিয় পাত্র। সেখানে কর্মিসভা করে, বাজারে প্রচার সারেন। মানুষের কাছে তিনি দাবি করেন, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূলকে হটাতে পারে এক মাত্র বামফ্রন্টই।”

Advertisement

বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরা সকালে কোতুলপুরের গোপীনাথপুরে কর্মীদের নিয়ে সাইকেল মিছিল করেন। পরে সেখানেই হুড খোলা গাড়িতে এলাকা ঘোরেন। পরে জয়পুরে শিক্ষকদের নিয়ে সভা করেন। তারপর যান ওন্দা বিধানসভা এলাকায়।

খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের কাছে পৌঁছতে রবিবার গির্জায়-গির্জায় দৌড়চ্ছেন পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী ম়ৃগাঙ্ক মাহাতো। গত রবিবার তিনি গিয়েছিলেন পুরুলিয়া শহরের একটি গির্জায়। এই রবিবার সকালে পৌঁছে গেলেন বাঘমুণ্ডির বুড়দা গ্রামের গির্জায়। পরে যান বাঘমুণ্ডির কড়েং গ্রামের একটি গির্জায়।

বস্তুত, বাঘমুণ্ডি বিধানসভা জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর খাসতালুক বলে পরিচিত। গত লোকসভা ভোটে এখানে তৃণমূল ‘লিড’ পায়নি। বিধানসভা ভোট থেকে পঞ্চায়েত ভোটেও সেই ঘাটতি মেটেনি। বাঘমুণ্ডিকে এ বার বিশেষ নজরে রেখেছে তৃণমূল। মৃগাঙ্কবাবু বলেন, ‘‘প্রভু যিশুর কৃপায় মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এ বারও প্রভুর কাছে সেই প্রার্থনা করেছি।’’

নেপালবাবু গিয়েছিলেন অযোধ্যা পাহাড়ের বিভিন্ন গ্রামে। হিলটপে পৌঁছে উসুলডুংরি, শিমুলবেড়া, ছাতনি, রাঙা-সহ বিভিন্ন গ্রামে যান তিনি। বাড়ি বাড়ি প্রচারের ফাঁকে গাছতলায় খাটিয়ায় বসে বৈঠক করেন। প্রশ্ন তোলেন, ‘‘পাহাড়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। তবুও কেন পাহাড় অন্ধকারে থাকবে?’’

বামফ্রন্ট প্রার্থী বীরসিংহ মাহাতো অবশ্য নির্বাচনে লড়ার জন্য নথি তৈরিতে সকালে পুরুলিয়া শহরে যান। বলেন, ‘‘সারা সপ্তাহ কোটশিলা থেকে মানবাজার, কাশীপুরে কর্মিসভা করতে চরকিপাক খেয়েছি। মনোনয়ন দাখিল করতে কিছু কাগজপত্র তৈরি করা প্রয়োজন। সে জন্য দলের আইনজীবীর কাছে গিয়েছিলাম।’’ এসইউসি প্রার্থী রঙ্গলাল কুমার পুরুলিয়া শহরে প্রচারে যান।

বিজেপি এখনও প্রার্থী দেয়নি। তবে নেতা-কর্মীরা প্রচারে নেমেছেন। দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী জানান, এ দিন রঘুনাথপুর ও পাড়া এলাকায় তাঁর দু’টি কর্মিসভা করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement