এই কেন্দ্রেই গোলমাল। নিজস্ব চিত্র
কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দেওয়ালে পতাকা ও মাইক বাঁধতে বাধা দেওয়ায় ওই কেন্দ্রের প্রধানকে মারধর ও এক মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক দল বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব মোর্চার সভাপতি শ্যামল রায়ের নেতৃত্বে এই হামলা হয় বলে অভিযোগ। শ্যামলবাবুর অবশ্য তা অস্বীকার করেছেন।
বর্ধমান শহরের ছোটনীলপুরের পীরতলা এলাকায় রয়েছে কম্পিউটার কেন্দ্রটি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে এলাকায় বিজেপির একটি সভা ছিল। সে জন্য সে দিন দুপুরে দলের কর্মীরা পতাকা ও মাইক বাঁধছিলেন। কম্পিউটার কেন্দ্রটির প্রধান শুভাশিস চৌধুরী অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে পতাকা-মাইক বাঁধতে এলে তাঁরা প্রতিবাদ করেন। তাতেই চটে যায় ওই বিজেপি কর্মীরা। জনা তিরিশ লোক কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে গোলমাল শুরু করে দেয়।
ওই কেন্দ্রের এক মহিলা কর্মী অভিযোগ করেন, তিনি ওই বিজেপি কর্মীদের বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়। শুভাশিসবাবুকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। আক্রান্ত হন কেন্দ্রের অন্য কর্মীরাও। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রশিক্ষণ নিতে আসা পড়ুয়ারা। বিকেলে সভার পরেও বিজেপির লোকজন তাঁদের হুমকি দিয়ে যায় বলে অভিযোগ শুভাশিসবাবুর। ওই মহিলা কর্মী শ্যামলবাবু ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে বর্ধমান মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও সরব হন তিনি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এলাকার বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘‘বিজেপির লোকজন অন্য দলের দেওয়াল লিখন মুছে দিচ্ছে, বাড়িতে চড়াও হচ্ছে। কম্পিউটার সেন্টারে এ ভাবে হামলার তীব্র নিন্দা করছি।’’ বিজেপি নেতারা অবশ্য কোনও হামলার কথা মানতে চাননি। শ্যামলবাবু পাল্টা দাবি করেন, ‘‘সব অভিযোগ মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর চক্রান্ত হচ্ছে।’’